সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০২১

মুসলিম জাতি একজন সাহসী কান্ডারিকে হারালো....

মুসলিম জাতি একজন সাহসী কান্ডারিকে হারালো 






১৯ আগস্ট ২০২১ আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী রহ.এর ইন্তেকালে বাইশারী ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া কল্যণ পরিষদ শোক জ্ঞাপন করছে। 

আজ দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। জীবদ্দশায় তিনি দেশের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম হাটহাজারীর শায়খুল হাদীস ও উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মুহতারাম কেন্দ্রীয় আমীর হিসেবে জাতির অভিভাবকত্ব করেছেন। তাঁর ইন্তেকালে জাতির অভিভাবক শূন্যতা আরো প্রকট হলো। এই ক্ষতি কোনোভাবেই পূরণিয় নয়।

২০১৩ সালে যখন মুসলিম জাতি চরম অভিভাবকহীনতায় ছিলো, তখন তাঁর আবির্ভাব ছিল জাতির রহমতস্বরূপ। এরপর চরম উত্তাল সময়েও জাতির হাল ধরে রেখেছিলেন শক্ত হাতে। আজ জাতি সেই কান্ডারিকে হারালো।

প্রচন্ড কারানির্যাতনেও তিনি হাল ছাড়েননি। রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতনের পর‌ও তিনি স্বীয় অবস্থানে থেকেছেন স্ব-মহিমায়। যা আমাদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।

এছাড়াও তিনি হাদীসে নববীর অন্যতম শীর্ষ মুহাদ্দিস ছিলেন। হাদীসের উপর বিশেষায়িত গবেষণা বিভাগ তিনিই বাংলাদেশে প্রথম চালু করেন।

মহান আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুন। আমাদেরকেও তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণের তৌফিক দান করুন। আমীন। 




সৌজন্যেঃ- বাইশারী আল-হেরা তাহফীজুল কুরআন আবেদীয়া মাদরাসা ও এতিমখানা ৷ যোগাযোগঃ-01810111919/01575406346



শুক্রবার, ২৬ মার্চ, ২০২১

শনিবার বিক্ষোভ রবিবার হরতালের ডাক হেফাজতের

www.hmhamid.com 


রবিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এছাড়া শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজত। হেফাজতের আমির মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এ কর্মসূচি দেন। শুক্রবার সন্ধ্যা্য় পল্টনে ঢাকা মহারগর হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক তার পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম, হাটহাজারীসহ সারা দেশে আন্দোলনরতদের ওপর হামলা ও ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হোক।’ তিনি দাবি করেন, হেফাজতের মোট ৫ জন কর্মী শহীদ হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন হাটহাজারীতে এবং একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এ কর্মসূচি সরকারের বিরুদ্ধে ছিল না। এটি ছিল নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। মোদি সে দেশে মুসলিমদের নির্যাতন করছেন। এর প্রতিবাদ স্বরূপ এ কর্মসূচি দিয়েছিলাম।