বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬

হুজুর (সাঃ) কতৃক, জান্নাতি মানুষের পরিচয়ঃ-

হুজুর (সাঃ) কতৃক জান্নাতি মানুষের পরিচয়ঃ-
HM HAMID বাইশারী............. 

মহানবী (সাঃ) একদিন মসজিদে বসেআছেন।সাহাবীরা তাঁকে ঘিরে আছেন। এমন সময়মহানবী (সাঃ) বললেন, “এখন যিনিমসজিদে প্রবেশ করবেন,তিনিবেহেশতের অধিবাসী।”একথা শুনে উপস্থিত সব সাহাবী অধীরআগ্রহে তাকিয়ে রইলেন মসজিদেরপ্রবেশ মুখে। সবার মধ্যে জল্পনা কল্পনাচলছে, হয়তো হজরত আবু বকর (রাঃ) বাহজরত উমর (রাঃ) অথবা এমন কেউআসছেন যাঁদের বেহেশতের সুসংবাদআল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন।সবাইকে অবাক করে দিয়ে মসজিদেপ্রবেশ করলেন একজন সাধারণ আনসারসাহাবী। এমনকি তাঁর নাম পরিচয় পর্যন্তজানা ছিল না অধিকাংশের।এরপরের দিনেও সাহাবীরা মসজিদেবসে আছেন নবীজি (সাঃ) কে ঘিরে।নবীজি (সাঃ) আবার বললেন, “এখন যিনিমসজিদে প্রবেশ করবেন,তিনিবেহেশতের অধিবাসী।” সেদিনওমসজিদে প্রবেশ য সেই সাহাবী।তৃতীয় দিন নবীজি(সাঃ) সাহাবীদেরলক্ষ্য করে আবার ঘোষণা দিলেন, “এখনযিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন, তিনিবেহেশতের অধিবাসী।”এবং সাহাবীরাদেখলেন সেই অতি সাধারণ সাহাবীমসজিদে প্রবেশ করলেন।পরপর তিনদিন এই ঘটনা ঘটারপর,সাহাবীদের মধ্যে কৌতূহল হলো সেইসাধারণ সাহাবী সম্পর্কে জানার জন্য।তিনি কেন অন্যদের চেয়ে আলাদা তাজানতে হবে।বিখ্যাত সাহাবী হজরত আবদুল্লাহ ইবনেআমর আল আ’স (রাঃ) ভাবলেন, এইসাহাবীর বিশেষত্ব কী তা জানতে হলেতাকে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করতেহবে। তিনি সেই সাহাবীর কাছে গিয়েবললেন,“আমার বাবার সাথে আমারমনোমালিন্য হয়েছে, তোমার বাড়িতেকি আমাকে তিনদিনের জন্য থাকতে দেবে?’’সেই সাহাবী রাজী হলেন।হজরতআবদুল্লাহ (রাঃ) তাঁকে গভীরভাবেপর্যবেক্ষণ করতে থাকলেন,খুঁজতেথাকলেন কী এমন আমল তিনি করেন।সারা দিন তেমন কোন কিছু চোখে পড়লনা। তিনি ভাবলেন হয়তো তিনি রাতজেগে ইবাদত করেন। না, রাতের নামাযপড়ে তো তিনি ঘুমাতে চলে গেলেন।উঠলেন সেই ফজর পড়তে। পরের দুটি দিনওএভাবে কেটে গেল। হজরত আবদুল্লাহ(রাঃ) কোন বিশেষ আমল বা আচরণআবিষ্কার করতে পারলেন না যাঅন্যদের চেয়ে আলাদা।তাই তিনি সরাসরি সেই সাহাবীকেবললেন, “দেখ আমার বাবার সাথে আমারকোন মনোমালিন্য হয় নি, আমি তোমাকেপর্যবেক্ষণ করার জন্য তোমার বাড়িতেছিলাম। কারণ নবীজি (সাঃ) বলেছেনযে তুমি জান্নাতি। আমাকে বল তুমিআলাদা কী এমন আমল করো?’’সেই সাহাবী বললেন, “তুমি আমাকেযেমন দেখেছ আমি তেমনই,আলাদাকিছুতো আমার মনে পড়ছে না।”এ কথা শুনে হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ)তাঁকে বিদায় জানিয়ে চলে যেতেথাকলেন। এমন সময় সেই সাহাবী হজরতআবদুল্লাহ (রাঃ) কে ডেকে বললেন,‘আমার একটা অভ্যাসের কথা তোমায়বলা হয়নি –"রোজ রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আমিতাদেরকে ক্ষমা করে দেই, যারাআমাকে কষ্ট দিয়েছে বা আমার প্রতিঅন্যায় করেছে। তাদেরুপ্রতি কোনক্ষোভ আমার অন্তরে আমি পুষে রাখিনা”হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) এ কথা শুনেবললেন, “এ জন্যই তুমি আলাদা, এ জন্যইতুমি জান্নাতি”। রাসূল (সাঃ)বলেছেন,যে মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহওতার প্রতি দয়া করেন না।[বুখারী ও মুসলিম]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আস্সালামু আলাইকুম৷
ইন-শা-আল্ল-হ৷
কিছুক্ষ্যনের মধ্যেই আপনার মন্তব্যের জবাব দেওয়া হবে৷
অতএব চোখ রাখুন HM HAMID বাইশারী নামক ইসলামী ব্লগে৷