জনপ্রিয় পোস্টসমূহ দেখুন

মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৬

আরাকান মুসলিমদের অতিত ইতিহাস জানতে পড়ুন??? যা না জানলে নয়, জান্তে হবে নিচ্চয়৷

আরাকান মুসলিমদের 
অতিত ইতিহাস জানতে পড়ুন??? 
যা না জানলে নয়, জান্তে হবে নিচ্চয়৷ 
 
HM HAMID বাইশারী.......... 
রোহিঙ্গা কারা : একটি সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত 
.
আরাকান নামে একসময় একটি সমৃদ্ধ স্বাধীন মুসলিম রাজ্য ছিল।যার প্রাচীন নাম রোহিং।
বর্তমান মিয়ানমারের রাখাইন (আরাকানের বর্তমান নাম, পুরনো নাম রোহিং) এলাকায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাস।
.
ঐতিহাসিক বিবরণ থেকে জানা যায়, এই উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সর্বপ্রথম যে ক’টি এলাকায় মুসলিম বসতি গড়ে উঠে, আরাকান তথা বর্তমান রাখাইন প্রদেশ তার অন্যতম। রোহিঙ্গারা সেই আরকানী মুসলমানদের বংশধর। এক সময় আরাকানে স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয় ১৪৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত মুসলিম শাসন দুশ’ বছরেরও অধিককাল স্থায়ী হয়।
.
নামকরণ
রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে একটি প্রচলিত গল্প রয়েছে এভাবে_ সপ্তম শতাব্দীতে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া একটি জাহাজ থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন উপকূলে আশ্রয় নিয়ে বলেন, আল্লাহর রহমে বেঁচে গেছি। এই রহম থেকেই এসেছে রোহিঙ্গা।
তবে,ওখানকার রাজসভার বাংলা সাহিত্যের লেখকরা ঐ রাজ্যকে রোসাং বা রোসাঙ্গ রাজ্য হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
.
অষ্টম শতাব্দীতে আরবদের আগমনের মধ্য দিয়ে ব্যাপকভাবে আরাকানে মুসলমানদের বসবাস শুরু হয়। আরব বংশোদ্ভূত এই জনগোষ্ঠী মায়্যু সীমান্তবর্তী অঞ্চলের (বাংলাদেশের
চট্টগ্রাম বিভাগের নিকট) চেয়ে মধ্য আরাকানের নিকটবর্তী ম্রক-ইউ এবং কাইয়্যুকতাও শহরতলীতেই বসবাস করতে পছন্দ করতো। এই অঞ্চলের বসবাসরত মুসলিম জনপদই পরবর্তীকালে রোহিঙ্গা নামে পরিচিতি লাভ করে।
.
ভাষা
ইতিহাস ও ভূগোল বলছে, রাখাইন প্রদেশের উত্তর অংশে বাঙালি, পার্সিয়ান, তুর্কি, মোগল, আরবীয় ও পাঠানরা বঙ্গোপসাগরের উপকূল বরাবর বসতি স্থাপন করেছে। তাদের কথ্য ভাষায় চট্টগ্রামের স্থানীয় উচ্চারণের প্রভাব রয়েছে। উর্দু, হিন্দি, আরবি শব্দও রয়েছে।
.
মগের মুল্লুক
রাখাইনে দুটি সম্প্রদায়ের বসবাস ‘মগ’ ও ‘রোহিঙ্গা’। মগরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। মগের মুল্লুক কথাটি বাংলাদেশে পরিচিত। দস্যুবৃত্তির কারণেই এমন নাম হয়েছে ‘মগ’দের। এক সময় তাদের দৌরাত্ম্য ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। মোগলরা তাদের তাড়া করে জঙ্গলে ফেরত পাঠায়।
.
ইতিহাস
ইতিহাস এটা জানায় যে, ১৪৩০ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত ২২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের রোহিঙ্গা স্বাধীন রাজ্য ছিল। মিয়ানমারের রাজা বোদাওফায়া এ রাজ্য দখল করার পর বৌদ্ধ আধিপত্য শুরু হয়।
.
ব্রিটিশদের দায়
এক সময়ে ব্রিটিশদের দখলে আসে এ ভূখণ্ড। তখন বড় ধরনের ভুল করে তারা এবং এটা ইচ্ছাকৃত কিনা, সে প্রশ্ন জ্বলন্ত। তারা মিয়ানমারের ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুত করে। কিন্তু তার মধ্যে রোহিঙ্গাদের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এ ধরনের বহু ভূল করে গেছে ব্রিটিশ শাসকরা।
.
সাময়িক অধিকার
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি মিয়ানমার স্বাধীনতা অর্জন করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু হয়। সে সময়ে পার্লামেন্টে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। এ জনগোষ্ঠীর কয়েকজন পদস্থ সরকারি দায়িত্বও পালন করেন।
.
নাগরিকত্ব বাতিল
১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলে মিয়ানমারের যাত্রাপথ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে শুরু করে। রোহিঙ্গাদের জন্য শুরু হয় দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়। সামরিক জান্তা তাদের বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে। তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ধর্মীয়ভাবেও অত্যাচার করা হতে থাকে। নামাজ আদায়ে বাধা দেওয়া হয়। হত্যা-ধর্ষণ হয়ে পড়ে নিয়মিত ঘটনা। সম্পত্তি জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়। বাধ্যতামূলক শ্রমে নিয়োজিত করা হতে থাকে। তাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নেই। বিয়ে করার অনুমতি নেই। সন্তান হলে নিবন্ধন নেই। জাতিগত পরিচয় প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। সংখ্যা যাতে না বাড়ে, সে জন্য আরোপিত হয় একের পর এক বিধিনিষেধ।
.
'কালা'
মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ডের অনেকের কাছেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী 'কালা' নামে পরিচিত। বাঙালিদেরও তারা 'কালা' বলে। ভারতীয়দেরও একই পরিচিতি। এ পরিচয়ে প্রকাশ পায় সীমাহীন ঘৃণা।
.
মানবাধিকারের চরম লংঘন
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বলা হয় "বিশ্বের সবচেয়ে কম প্রত্যাশিত জনপদ"এবং "বিশ্বের অন্যতম নিগৃহীত সংখ্যালঘু"। ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনের ফলে তারা নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হন।  তারা সরকারি অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ করতে পারে না, জমির মালিক হতে পারে না এবং দুইটির বেশি সন্তান না নেওয়ার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অনুসারে, ১৯৭৮ সাল থেকে মায়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গারা মানবাধিকার লংঘনের শিকার হচ্ছে এবং তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
তথ্যসূত্র-
উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা অবলম্বনে।
.
হে আল্লাহ, আকারাকানসহ সারা বিশ্বের সকল নির্যাতিত মুসলিদের হেফাজত করুন।
আমীন।  
আরো তথ্য.......... 
★রোহিঙ্গা মাযলুম মুসলিমদের করুণ ইতিহাস.... 

রোহিঙ্গারা নানানজাতির সংমিশ্রিত
সুন্নি মুসলামান। এরা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক
ভাষায় কথা বলে। নবম শতকে আরব, মোগল, তুর্ক ও
পরে পুর্তগিজরা মায়ানমারে বসতি গড়ে।
বার্মিজরা তখন এই ভিনদেশীদের মেনে
নিতে প্রস্তুত ছিল না। ১৪ শতকে তাদের
বংশধরেরা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে। মোগল আমলে
আরাকান ছিলো মোগল সাম্রাজ্যের অধীন
স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল। মুঘলদের পতন হলেও
আরাকান তার স্বাধীনতা বজায় রাখে।
১৭৭৫ সালে মগরা আরাকানে আক্রমন করে। ৩০
হাজার মগ সেনা আরাকানের প্রায় তিন
হাজার মসজিদের সবকটিই ধ্বংস করে দেয়। দুই
লাখ রোহিঙ্গাকে রেঙ্গুন শাসকদের কাছে
দাস হিসেবে বিক্রি করে। নিহত হয় প্রায়
দেড় লাখ। ৩০৭ টি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামকে
জনশূণ্য করে দেওয়া হয়। রোহিঙ্গারা ১৮২৫
সালে ইংরেজদের বার্মা (বর্তমান
মায়ানমার) আক্রমণে অনুপ্রাণিত করে।
রোহিঙ্গাদের ধারনা ছিল বার্মা
ইংরেজদের অধীনে গেলে তারা ইয়াঙ্গুনের
নির্যাতন থেকে রক্ষা পাবে।
ইংরেজরা ১৮২৫ সালে প্রায় বিনা বাঁধায়
বার্মা দখল করে। বার্মিজ বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গা
মুসলমানদের নিরব শত্রুতা বাড়তেই থাকে। এর
প্রকাশ পায় ১৯৪২ সালে। জাপান ওই সময় বার্মা
দখল করলে বার্মিজরা রোহিঙ্গাদের কচুকাটা
করে।
বেসরকারি হিসেবে ১৯৪২ থেকে ১৯৪৪ সাল এই
দুই বছরে তিন লাখ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা
হয়। ১৯৪৪ সালে ইংরেজরা আবার বার্মা দখল
করে। রোহিঙ্গারা আবার স্বায়ত্বশাসন ফিরে
পায়। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা পায় বার্মা। ওই
সময় আরাকান পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দিতে
মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর কাছে আবেদন করে।
কিন্তু জিন্নাহ তাতে রাজী না হলে আরাকান
বার্মার হয়ে যায়।
৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পরই বার্মা
রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে অস্বীকার
করে। শুরু হয় সরকারি মদদে রোহিঙ্গা নিধন।
তবে ভয়াবহতা লাভ করে ১৯৬২সালে। বার্মায়
সামরিক শাসন জারির পর। সেনাবাহিনী,
পুলিশসহ সকল সরকারি চাকরিতে
রোহিঙ্গাদের নিয়োগ লাভ নিষিদ্ধ হয়।
ভূমিতে তাদের অধিকারকে অস্বীকার হয়। ৭১
সালে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে
নেওয়া হয়। তাদের বলা হয়- বার্মায়
বসবাসকারী কিন্তু নাগরিক নয়। ৭৪ সালে
ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।
৭৮ সালে সামরিকজান্তা যে নাগরিক আইন
করে তাতে রোহিঙ্গাদের নাগরিক হওয়ার
সুযোগ চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবার শুরু হয়
রোহিঙ্গা নিধন। অবস্থা এতটাই অমানবিক
ছিল যে আড়াই লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে
ও সমপরিমান রোহিঙ্গা থাইল্যান্ডে
পালিয়ে যায়। ওই সময় ৫৫ হাজার
রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয় বলে ধারনা করা
হয়। ৮৮ সালে রোহিঙ্গাদের ভ্রমনে
বিধিনিষেধ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায়
বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। এতে করে
রোহিঙ্গারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির
সুযোগ হারায়। ভ্রমনে বিধিনিষেধ থাকায়
বার্মা থেকে পালানোর উপায়ও ছিল না।
এমনকি চরম অসুস্থ হলেও তারা হাসপাতালে
যাওয়ার সুযোগ পায় না ভ্রমনে বিধিনিষেধ
থাকায়। ৯০ সালে আবার রাখাইন-রোহিঙ্গা
দাঙ্গা শুরু হয়। এই সময়েও প্রচুর রোহিঙ্গা দেশ
ছাড়ে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে দুই লাখ
৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে
বাধ্য হয় বার্মা।
রোহিঙ্গা মুসলমানদের ইতিহাস বড়ই করুণ। যুগ যুগ
ধরে নির্যাতনের স্টীমরোলারে পিষ্ঠ হতে
আছে। আজও রোহিঙ্গাদের আর্তনাদে বাতাস
প্রকম্পিত। তবু বিশ্ববিবেক জাগ্রত হচ্ছে না।
রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে অন্তত মুসলিম
বিশ্ব সোচ্চার হওয়া মানবতার দাবী।

কোন মন্তব্য নেই:

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট গুলো দেখুন, আর মন দিয়ে পড়ুন৷ আমার জানা মতে ক্ষতি হবেনা আপনার৷ ইশা-আল্ল-হ৷

বাংলাদেশে হাবশী শাসক

আমাদের এই দেশ একসময় সুদূর আফ্রিকা থেকে আগত হাবশীদের দ্বারা শাসিত হয়েছে। আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে হাবশী কারা? 'হাবশা' বলতে মূলত ইথ...

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ দেখুন