সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৯

অভিধান খুজে জিকিরের অর্থ পেলাম...

পবিত্র কা'বা শরিফ
অভিধান খুজে জিকিরের যে অর্থ পাওয়া যায় তা হলো স্বরণ করা, ইসলামী পরিভাষায় জিকির বলে আল্লাহকে স্বরণ করা, প্রতিটি কাজে প্রতিক্ষনে আল্লাহকে স্বরণ করে ন্যায়কাজ করা ও অন্যায়কাজ করা থেকে বিরত থাকাটাও জিকিরের অন্তর্ভুক্ত, তেমনি কোরআন পাঠ মাঝেমধ্যে আল্লাহকে ডাকা কালিমা পাঠ এসবি আল্লাহর স্বরণে হলে তাও জিকির, যারা টাকার বিনিময়ে সবিনা পড়ে ও টাকার উদ্যেশ্যে খতম তারাবীহ পড়ায় তাদেরটা নিশ্চয়ই জিকির নয়, লোক দেখানোর উদ্যেশ্যে যারা মসজিদ ফাটায় কিবা শুধু পীরের সামনে আসলেই কেবল বাশ বেয়ে উঠে যায় মন্দারগাছে উঠেনা ওদেরটাকে কি বলা উচিত আপনারাই ভালো জানেন।

মরহুম চরমোনাই পীর সাহেব বলেছিলেন "যারা জোরে জিকির করেনা তারা দেখবেন আস্তেও জিকির করেনা" হুজুর বলেছেন আমার মনেহয় শব্দহীর আল্লাহর স্বরনকে উনি জিকিরই ভাবতেননা এই জন্য, আরে ভাই মনেমনে কারা আল্লাহকে স্বরন করছে তা আপনি দেখবেন কি করে? পীরসাহেব কিন্তু বুদ্ধিকরে সেটাই বলেছেন।

অনেকে হাকডাক করে চিল্লিয়ে অদ্ভুত শব্দে বিভিন্ন ভংগিতে নেচে গেয়ে একাকার করে ফেলে, এদের মধ্যে কেউ হক্বের পতাকাবাহী, কেউবা আবার সত্যের বিপক্ষে কাফিরদের অস্র হয়ে কাজ করছে, হক্বের ঝান্ডাধারীদের উল্টা কাজের বৈধতা দিতে গিয়ে পুরোদস্তুর শয়তানি চেলাদের মোক্বাবেলা দুসঃসাধ্য হয়ে উঠেছে।

খালি চোখে বলিষ্ঠ শরির বড় পাগড়ি আর দুনীয়া বিরাগী সন্যাসী দেখে মানুষ উঠে দাঁড়ায় সালাম করে দোয়া নেয় ইসলামিক বিষয়ে জানতে চায়, মুখোশের আড়ালে সে কে এটা জানার ফুরসত কোথায় আম জনতার? সর্বপরি এখন যেভাবে সবাই নিজস্ব আক্বিদা বিশ্বাসের প্রচার করে যাচ্ছে এতে দিধাবিভক্ত হয়ে উম্মাহ শতধাবিভক্ত হচ্ছে, কোরআনের বিপরিতে দূর্বল হাদিসকে পর্যন্ত দলিল হিসেবে উপস্থাপন করছে, এমনকি তাও না পেলে চাপা দিয়েই কোরআন দমনের চেস্টা করছে, এমতাবস্থায় কোরআন ও হাদিসই হতে পারে একমাত্র উম্মাহর মুক্তির পথ ও পাথেয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আস্সালামু আলাইকুম৷
ইন-শা-আল্ল-হ৷
কিছুক্ষ্যনের মধ্যেই আপনার মন্তব্যের জবাব দেওয়া হবে৷
অতএব চোখ রাখুন HM HAMID বাইশারী নামক ইসলামী ব্লগে৷