মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

৬য়ে ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ দিবস৷

মনে আছে কি?????
আজ ৬য়ে ডিসেম্বর,
ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ দিবস.....................????
১৯৯২সালের আজকের এই দিনে একদল হিংস্র হিন্দুত্ববাদী পশুর দল বাবরী মসজিদকে  ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়! তার নেতৃত্ব দানকারী  বলবৎ সিং (আমের সিং) বর্তমানে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে দ্বীনের দায়ী। এবং অনেক নতুন মসজিদ এর  নির্মাতা। মহান রাব্বুল আলামীমের কাছে এই প্রার্থনায় রইল যেন সবাইকে দ্বীনের জন্য কবুল করে হেদায়েত দান করেন........৷
সাথে সাথে জেনে নিন,
বাবরি মসজিদ নিয়ে,
আরেক মালাউনের কূরুচি মন্তব্য৷
@[1388622511453920:]
সুব্রমনিয়াম স্বামীর
মসজিদ নিয়ে বিতর্কিত
মন্তব্যে বিজেপিতে
মতবিরোধ, অসমে
প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বিজেপি নেতা
সুব্রমনিয়াম স্বামীকে সে রাজ্যে প্রবেশ
করতে বাধা দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
মসজিদ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে নানা মহল
থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার পর এ হুঁশিয়ারি
দিলেন তরুণ গগৈ।
সম্প্রতি অসমে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে
বিজেপি নেতা সুব্রমনিয়াম স্বামী বলেন,
‘অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ হবেই।’ তিনি মন্তব্য
করেন, ‘বাবরী মসজিদ ভেঙে ফেলে কেউ
অন্যায় করেনি। মন্দির ভাঙা অন্যায়, কেননা মন্দিরে
ঈশ্বর থাকেন। কিন্তু মসজিদ কোনো ধর্মীয়
স্থানই নয়, উপাসনাস্থল মাত্র। নামাজ পড়ার বিল্ডিং। গির্জাও
তেমনই।’
শনিবার কাজিরাঙ্গা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠান
শেষে সাংবাদিকদের জানান, ‘মসজিদ ভাঙতে
কোনো বাঁধা নেই। সৌদি আরবে সড়ক নির্মাণের
জন্য মসজিদকেও ভেঙে ফেলা হয়েছে এ
রকম নজির রয়েছে। যদি কেউ আমার সঙ্গে
একমত না হন, তাহলে তার সঙ্গে বিতর্কে যেতে
রাজি।’
সুব্রমনিয়াম স্বামীর এমন বিতর্কিত মন্তব্যে বিপাকে
পড়েছে বিজেপি। দলের মধ্যে তার বক্তব্য
নিয়ে বিব্রত হয়েছেন নেতারা। এ নিয়ে
বিজেপি’তে তীব্র মতবিরোধও প্রকাশ্যে এসে
পড়েছে।
বিজেপি’র সর্বভারতীয় মুখপাত্র নলিন কোহলি
বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তির ধর্মীয় বিশ্বাস
এবং উপাসনাস্থল নিয়ে সকলের শ্রদ্ধাবোধ থাকা
উচিত।’
এদিকে, অসমের বিজেপি প্রেসিডেন্টকে
কার্যত ‘অশিক্ষিত’ এবং ‘রাজনীতির জ্ঞান শূন্য’ বলে
মন্তব্য করায় বেজায় চটেছেন সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য।
সুব্রমনিয়াম স্বামী মন্তব্য করেন, ‘দেশবাসীর
একাংশ এখনো অশিক্ষিত। এদের অনেকেই
স্বাক্ষর হলেও এরা জ্ঞান শূন্য। বিজেপি’র রাজ্য
প্রেসিডেন্ট সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যও অশিক্ষিত-রাজনৈতিক
জ্ঞানশূন্য।’ সিদ্ধার্থ দিল্লি গেলে তাকে পাঠদান
করতে পারেন বলেও জানিয়েছেন স্বামী।
সুব্রমনিয়াম স্বামীর পাল্টা আঘাত হেনে সুব্রত
ভট্টাচার্য মন্তব্য করেছেন, ‘সুব্রমনিয়াম স্বামী
একজন ধর্মান্ধ।’ তিনি বলেন, স্বামীর এ ধরণের
মন্তব্যে দলের ক্ষতি হচ্ছে। তিনি বিষয়টি
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনে তুলে ধরবেন
বলেও জানিয়েছেন।
সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য জানান, ‘আগামী ১৮ থেকে ২০
মার্চ দিল্লীতে দলের সর্বভারতীয়
প্রেসিডেন্ট অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হবে।
সেখানে স্বামীর মন্তব্যের যাবতীয় নথিপত্র
তুলে দেব। তিনি অসমে এসে বারবার যেভাবে
বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলছেন তাতে দলের
ক্ষতি হচ্ছে।’
তাকে সুব্রমনিয়াম স্বামী ‘অশিক্ষিত’ বলে কটাক্ষ
করার জবাবে সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য জানান, ‘স্বামীর কাছ
থেকে হিংসা, বিদ্বেষ, ধর্মান্ধতার শিক্ষা গ্রহণ
করতে চাই না আমি। এজন্য কেউ যদি আমাকে
অশিক্ষিত বলে, তাহলে আমি অশিক্ষিত হয়ে
থাকতেই খুশি হব।’
সুব্রমনিয়াম স্বামীর মন্তব্য সম্পর্কে রাজ্য
বিজেপি প্রেসিডেন্ট সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য বলেছেন,
‘সুব্রমনিয়াম স্বামীর এই মন্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত।
বিজেপি’র নীতির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক
নেই।’
এদিকে, বিজেপি নেতা সুব্রমনিয়াম স্বামীর এ
ধরণের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন,
‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের
মহাসচিব মাওলানা নিজামুদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের
দেশে ৮০০ বছর ধরে ইসলামী হুকুমত ছিল, কিন্তু
কোনো বাদশাই মসজিদ ভাঙেননি।’
স্বামীর দেয়া সৌদি আরবের উদাহরণ প্রসঙ্গে তিনি
বলেন, ‘সৌদি আরব তাদের নিয়মে চলে। স্বামী যদি
তাদের সঙ্গে একমত হতে চান তাহলে সৌদি
আরবের নিয়ম এখানে চালু করুন। সেখানে চুরি বা
অন্যান্য অপরাধে হাত কাটা এমনকি মুণ্ডচ্ছেদ করা
হয়। আসলে সরকারের ব্যর্থতা চাঁপা দিতে স্বামী এ
ধরণের মন্তব্য করেছেন।’
অলইন্ডিয়া শিয়া পার্সোনাল ল’ বোর্ডের মুখপাত্র
মাওলানা ইয়াসুব আব্বাস বলেছেন, ‘মসজিদ কোনো
সাধারণ ইমারত নয়, বরং তা আল্লাহর ঘর। কোনো
অবস্থাতেই তা ভেঙে ফেলা যায় না।’ তিনি আরো
বলেন, ‘সৌদি আরব দুনিয়ার জন্য উদাহরণ নয়।’
বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী রিসার্চ ইন্সটিটিউট শিবলি
একাডেমীর উপপ্রধান মাওলানা উমর আল সিদ্দিক
বলেন, ‘যেখানে মসজিদ নির্মাণ করা হয়, সেখানে
কেয়ামত পর্যন্ত মসজিদই থাকে।’-আইআরআইবি।

সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৬

islami song

[https://m.youtube.com/watch?v=qQqXKyHSLdk] [ctg l. Hm hamid - YouTube] is good,have a look at it!

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৬

মায়ানমারে ভূমিকম্প, সবিই আল্লাহর খেলা, ওহে বুদ্ধ নেড়ারা? বুঝ এবার খেলা৷

মায়ানমারে ভূমিকম্প, সবিই আল্লাহর খেলা, ওহে বুদ্ধ নেড়ারা? বুঝ এবার খেলা৷ 
শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধসে
পড়েছে মিয়ানমারের একাধিক
মন্দির-শেয়ার করে দিন সবাই৷ 
আন্তজার্তিকঃ 

 HM HAMID বাইশারী.....
শক্তিশালী ভূমিকম্পে মিয়ানমারে একাধিক মন্দির
ধসে পড়েছে। রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮
মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয় দেশটিতে। তবে এখন
পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বুধবার
মিয়ানমারের স্থানীয় সময় বিকেল ৫ টার দিকে ওই
কম্পন অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার
ছাড়াও চীন, লাওস এবং থাইল্যান্ডেও ভূমিকম্প আঘাত
হেনেছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপসংস্থা ইউএসজিএস বলছে,
রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্প
মিয়ানমারের চক শহরের ২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে ৮৪
দশমিক ১ কিলোমিটার (৫২ মাইল) গভীরে উৎপত্তি
হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির এক
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের মান্দালয়,
নাইপিদো ও ইয়াঙ্গুনে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
তবে দেশটির বিগান শহরে একাধিক মন্দির ধসে
পড়েছে।
ভারতের কলকাতা, আসাম, বিহার ও ঝাড়খণ্ডেও কম্পন
অনুভূত হয়েছে। ইউএসজিএস বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব
এশিয়ার ৪ কোটি ১০ লাখ মানুষ বুধবারের এই
কম্পনে আক্রান্ত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত
কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এনডিটিভি এক
প্রতিবেদনে বলছে, কলকাতায় ১০ সেকেন্ড
স্থায়ী কম্পনের সময় অফিস ও স্কুল-কলেজ
থেকে কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে
আসেন।

পাল্টান???

আস্সালামু আলাইকুম৷

HM HAMID বাইশারী পরিবারের,
পক্ষ্য থেকে বিশেষ অনুরুধ৷
যারা এখনো প্রোফাইল ছবি,
পরিবর্তন করতে পারেননি,
দয়াকরে নিচের,
এই লিঙ্ক এ প্রবেশ করে ,
আপনার প্রোফাইল ছবি,
পরিবর্তন পূর্বক আরাকানের,
নিরিহ মুসলিমদের পক্ষ্যে,
আপনার সাপোর্ট জানান,
যেনো তারা,
জালিমের জুলুম থেকে রেহায় পায়৷
আল্লাহ তাআলা যেনো,
তাদেরকে হেফাজাত করেন,
সেই জন্য দোয়া ও করি,
আমীন৷
বিঃদ্রঃ UC ব্রাউজার,
ব্যাবহার করার জন্য,
অনুরুধ রইলো৷
যদি আপনি সক্ষ্যম না হওন,
একটু সময় নিয়ে,
আপনার কাঙ্কিত ছবিটি,
আমাকে বা উপরে প্রকাশ কৃত পেইজে,  কমেন্ট বা মেসেজ করুন???
আমিই করে দিচ্ছি৷
ইন-শা-আল্ল-হ৷
https://www.isupportcause.com/campaign/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%B9-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AE-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%95%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87

বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৬

আসুন??? নিরিহ বার্মার, রোহীঙ্গাঁ মুসলিমদের পক্ষ্যে কথা বলি৷

নিরিহ বার্মার, 
রোহীঙ্গাঁ মুসলিমদের, 
পক্ষ্য হয়ে, 
আপনার ছবিতে, 
ফ্রেম বসাতে চাইলে, 
এই লিঙ্কে ক্লিক করুন.............. 
https://www.isupportcause.com/campaign/stop-killing-muslims-in-burma/p9z0d
 
এবার শেয়ার করুন????

মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৬

আরাকান মুসলিমদের অতিত ইতিহাস জানতে পড়ুন??? যা না জানলে নয়, জান্তে হবে নিচ্চয়৷

আরাকান মুসলিমদের 
অতিত ইতিহাস জানতে পড়ুন??? 
যা না জানলে নয়, জান্তে হবে নিচ্চয়৷ 
 
HM HAMID বাইশারী.......... 
রোহিঙ্গা কারা : একটি সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত 
.
আরাকান নামে একসময় একটি সমৃদ্ধ স্বাধীন মুসলিম রাজ্য ছিল।যার প্রাচীন নাম রোহিং।
বর্তমান মিয়ানমারের রাখাইন (আরাকানের বর্তমান নাম, পুরনো নাম রোহিং) এলাকায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাস।
.
ঐতিহাসিক বিবরণ থেকে জানা যায়, এই উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সর্বপ্রথম যে ক’টি এলাকায় মুসলিম বসতি গড়ে উঠে, আরাকান তথা বর্তমান রাখাইন প্রদেশ তার অন্যতম। রোহিঙ্গারা সেই আরকানী মুসলমানদের বংশধর। এক সময় আরাকানে স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয় ১৪৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত মুসলিম শাসন দুশ’ বছরেরও অধিককাল স্থায়ী হয়।
.
নামকরণ
রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে একটি প্রচলিত গল্প রয়েছে এভাবে_ সপ্তম শতাব্দীতে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া একটি জাহাজ থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন উপকূলে আশ্রয় নিয়ে বলেন, আল্লাহর রহমে বেঁচে গেছি। এই রহম থেকেই এসেছে রোহিঙ্গা।
তবে,ওখানকার রাজসভার বাংলা সাহিত্যের লেখকরা ঐ রাজ্যকে রোসাং বা রোসাঙ্গ রাজ্য হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
.
অষ্টম শতাব্দীতে আরবদের আগমনের মধ্য দিয়ে ব্যাপকভাবে আরাকানে মুসলমানদের বসবাস শুরু হয়। আরব বংশোদ্ভূত এই জনগোষ্ঠী মায়্যু সীমান্তবর্তী অঞ্চলের (বাংলাদেশের
চট্টগ্রাম বিভাগের নিকট) চেয়ে মধ্য আরাকানের নিকটবর্তী ম্রক-ইউ এবং কাইয়্যুকতাও শহরতলীতেই বসবাস করতে পছন্দ করতো। এই অঞ্চলের বসবাসরত মুসলিম জনপদই পরবর্তীকালে রোহিঙ্গা নামে পরিচিতি লাভ করে।
.
ভাষা
ইতিহাস ও ভূগোল বলছে, রাখাইন প্রদেশের উত্তর অংশে বাঙালি, পার্সিয়ান, তুর্কি, মোগল, আরবীয় ও পাঠানরা বঙ্গোপসাগরের উপকূল বরাবর বসতি স্থাপন করেছে। তাদের কথ্য ভাষায় চট্টগ্রামের স্থানীয় উচ্চারণের প্রভাব রয়েছে। উর্দু, হিন্দি, আরবি শব্দও রয়েছে।
.
মগের মুল্লুক
রাখাইনে দুটি সম্প্রদায়ের বসবাস ‘মগ’ ও ‘রোহিঙ্গা’। মগরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। মগের মুল্লুক কথাটি বাংলাদেশে পরিচিত। দস্যুবৃত্তির কারণেই এমন নাম হয়েছে ‘মগ’দের। এক সময় তাদের দৌরাত্ম্য ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। মোগলরা তাদের তাড়া করে জঙ্গলে ফেরত পাঠায়।
.
ইতিহাস
ইতিহাস এটা জানায় যে, ১৪৩০ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত ২২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের রোহিঙ্গা স্বাধীন রাজ্য ছিল। মিয়ানমারের রাজা বোদাওফায়া এ রাজ্য দখল করার পর বৌদ্ধ আধিপত্য শুরু হয়।
.
ব্রিটিশদের দায়
এক সময়ে ব্রিটিশদের দখলে আসে এ ভূখণ্ড। তখন বড় ধরনের ভুল করে তারা এবং এটা ইচ্ছাকৃত কিনা, সে প্রশ্ন জ্বলন্ত। তারা মিয়ানমারের ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুত করে। কিন্তু তার মধ্যে রোহিঙ্গাদের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এ ধরনের বহু ভূল করে গেছে ব্রিটিশ শাসকরা।
.
সাময়িক অধিকার
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি মিয়ানমার স্বাধীনতা অর্জন করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু হয়। সে সময়ে পার্লামেন্টে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। এ জনগোষ্ঠীর কয়েকজন পদস্থ সরকারি দায়িত্বও পালন করেন।
.
নাগরিকত্ব বাতিল
১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলে মিয়ানমারের যাত্রাপথ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে শুরু করে। রোহিঙ্গাদের জন্য শুরু হয় দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়। সামরিক জান্তা তাদের বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে। তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ধর্মীয়ভাবেও অত্যাচার করা হতে থাকে। নামাজ আদায়ে বাধা দেওয়া হয়। হত্যা-ধর্ষণ হয়ে পড়ে নিয়মিত ঘটনা। সম্পত্তি জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়। বাধ্যতামূলক শ্রমে নিয়োজিত করা হতে থাকে। তাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নেই। বিয়ে করার অনুমতি নেই। সন্তান হলে নিবন্ধন নেই। জাতিগত পরিচয় প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। সংখ্যা যাতে না বাড়ে, সে জন্য আরোপিত হয় একের পর এক বিধিনিষেধ।
.
'কালা'
মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ডের অনেকের কাছেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী 'কালা' নামে পরিচিত। বাঙালিদেরও তারা 'কালা' বলে। ভারতীয়দেরও একই পরিচিতি। এ পরিচয়ে প্রকাশ পায় সীমাহীন ঘৃণা।
.
মানবাধিকারের চরম লংঘন
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বলা হয় "বিশ্বের সবচেয়ে কম প্রত্যাশিত জনপদ"এবং "বিশ্বের অন্যতম নিগৃহীত সংখ্যালঘু"। ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনের ফলে তারা নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হন।  তারা সরকারি অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ করতে পারে না, জমির মালিক হতে পারে না এবং দুইটির বেশি সন্তান না নেওয়ার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অনুসারে, ১৯৭৮ সাল থেকে মায়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গারা মানবাধিকার লংঘনের শিকার হচ্ছে এবং তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
তথ্যসূত্র-
উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা অবলম্বনে।
.
হে আল্লাহ, আকারাকানসহ সারা বিশ্বের সকল নির্যাতিত মুসলিদের হেফাজত করুন।
আমীন।  
আরো তথ্য.......... 
★রোহিঙ্গা মাযলুম মুসলিমদের করুণ ইতিহাস.... 

রোহিঙ্গারা নানানজাতির সংমিশ্রিত
সুন্নি মুসলামান। এরা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক
ভাষায় কথা বলে। নবম শতকে আরব, মোগল, তুর্ক ও
পরে পুর্তগিজরা মায়ানমারে বসতি গড়ে।
বার্মিজরা তখন এই ভিনদেশীদের মেনে
নিতে প্রস্তুত ছিল না। ১৪ শতকে তাদের
বংশধরেরা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে। মোগল আমলে
আরাকান ছিলো মোগল সাম্রাজ্যের অধীন
স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল। মুঘলদের পতন হলেও
আরাকান তার স্বাধীনতা বজায় রাখে।
১৭৭৫ সালে মগরা আরাকানে আক্রমন করে। ৩০
হাজার মগ সেনা আরাকানের প্রায় তিন
হাজার মসজিদের সবকটিই ধ্বংস করে দেয়। দুই
লাখ রোহিঙ্গাকে রেঙ্গুন শাসকদের কাছে
দাস হিসেবে বিক্রি করে। নিহত হয় প্রায়
দেড় লাখ। ৩০৭ টি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামকে
জনশূণ্য করে দেওয়া হয়। রোহিঙ্গারা ১৮২৫
সালে ইংরেজদের বার্মা (বর্তমান
মায়ানমার) আক্রমণে অনুপ্রাণিত করে।
রোহিঙ্গাদের ধারনা ছিল বার্মা
ইংরেজদের অধীনে গেলে তারা ইয়াঙ্গুনের
নির্যাতন থেকে রক্ষা পাবে।
ইংরেজরা ১৮২৫ সালে প্রায় বিনা বাঁধায়
বার্মা দখল করে। বার্মিজ বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গা
মুসলমানদের নিরব শত্রুতা বাড়তেই থাকে। এর
প্রকাশ পায় ১৯৪২ সালে। জাপান ওই সময় বার্মা
দখল করলে বার্মিজরা রোহিঙ্গাদের কচুকাটা
করে।
বেসরকারি হিসেবে ১৯৪২ থেকে ১৯৪৪ সাল এই
দুই বছরে তিন লাখ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা
হয়। ১৯৪৪ সালে ইংরেজরা আবার বার্মা দখল
করে। রোহিঙ্গারা আবার স্বায়ত্বশাসন ফিরে
পায়। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা পায় বার্মা। ওই
সময় আরাকান পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দিতে
মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর কাছে আবেদন করে।
কিন্তু জিন্নাহ তাতে রাজী না হলে আরাকান
বার্মার হয়ে যায়।
৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পরই বার্মা
রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে অস্বীকার
করে। শুরু হয় সরকারি মদদে রোহিঙ্গা নিধন।
তবে ভয়াবহতা লাভ করে ১৯৬২সালে। বার্মায়
সামরিক শাসন জারির পর। সেনাবাহিনী,
পুলিশসহ সকল সরকারি চাকরিতে
রোহিঙ্গাদের নিয়োগ লাভ নিষিদ্ধ হয়।
ভূমিতে তাদের অধিকারকে অস্বীকার হয়। ৭১
সালে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে
নেওয়া হয়। তাদের বলা হয়- বার্মায়
বসবাসকারী কিন্তু নাগরিক নয়। ৭৪ সালে
ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।
৭৮ সালে সামরিকজান্তা যে নাগরিক আইন
করে তাতে রোহিঙ্গাদের নাগরিক হওয়ার
সুযোগ চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবার শুরু হয়
রোহিঙ্গা নিধন। অবস্থা এতটাই অমানবিক
ছিল যে আড়াই লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে
ও সমপরিমান রোহিঙ্গা থাইল্যান্ডে
পালিয়ে যায়। ওই সময় ৫৫ হাজার
রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয় বলে ধারনা করা
হয়। ৮৮ সালে রোহিঙ্গাদের ভ্রমনে
বিধিনিষেধ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায়
বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। এতে করে
রোহিঙ্গারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির
সুযোগ হারায়। ভ্রমনে বিধিনিষেধ থাকায়
বার্মা থেকে পালানোর উপায়ও ছিল না।
এমনকি চরম অসুস্থ হলেও তারা হাসপাতালে
যাওয়ার সুযোগ পায় না ভ্রমনে বিধিনিষেধ
থাকায়। ৯০ সালে আবার রাখাইন-রোহিঙ্গা
দাঙ্গা শুরু হয়। এই সময়েও প্রচুর রোহিঙ্গা দেশ
ছাড়ে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে দুই লাখ
৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে
বাধ্য হয় বার্মা।
রোহিঙ্গা মুসলমানদের ইতিহাস বড়ই করুণ। যুগ যুগ
ধরে নির্যাতনের স্টীমরোলারে পিষ্ঠ হতে
আছে। আজও রোহিঙ্গাদের আর্তনাদে বাতাস
প্রকম্পিত। তবু বিশ্ববিবেক জাগ্রত হচ্ছে না।
রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে অন্তত মুসলিম
বিশ্ব সোচ্চার হওয়া মানবতার দাবী।

রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৬

আরেক বাংলাদেশ’ জাগছে সাগরে৷ প্রতিবেশিদের সাহায্য করার এটিই সূবর্ণ সূযোগ৷

আরেক বাংলাদেশ’ জাগছে
সাগরে৷ 
 

HM HAMID বাইশারী...........

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমান
বিচ্ছ্ন্নি ভূখণ্ড জেগে ওঠার সম্ভাবনা এখন
বেশ উজ্জ্বল হয়ে দেখা দিয়েছে। এতে
উপকূলীয় বাসীর মনে আশার সঞ্চার হচ্ছে।বলা
হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে যখন
বাংলাদেশের বিরাট অংশ সাগরে
নিমজ্জিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঠিক সে
সময়েই বঙ্গোপসাগরের বুকে দেখা দিয়েছে
আরেক বাংলাদেশের হাতছানি। সেখানে
সমুদ্রের অথৈ জলে প্রাকৃতিকভাবেই বিশাল
বিশাল চর জেগেছে, গড়ে উঠেছে মাইলের
পর মাইল ভূখণ্ড।
উপকূলীয় এলাকায় গবেষণাভিত্তিক কর্মকাণ্ডে
সম্পৃক্ত ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং
(আইডব্লিউএম), অ্যাকচুয়ারি ডেভেলপমেন্ট
প্রোগ্রাম (ইডিপি) ও সেন্টার ফর
এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল
ইনফরমেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস) সূত্রে এসব তথ্য
জানা গেছে।
সূত্র মতে, দীর্ঘদিন ধরে শুধুই ‘ডোবা চর’
হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকটি চরভূমি
ইতিমধ্যে স্থায়ী ভূখণ্ডে পরিণত হয়েছে।
সেসব স্থানে জনবসতিও গড়ে উঠেছে। একই
ধরনের আরও প্রায় ২০টি ‘নতুন ভূখণ্ড’ এখন স্থায়িত্ব
পেতে চলেছে। বঙ্গোপসাগরে দুই-তিন বছর
ধরে জেগে থাকা এসব দ্বীপখণ্ড ভরা
জোয়ারেও আর তলিয়ে যাচ্ছে না, বরং দিন
দিনই বেড়ে চলছে এর আয়তন। এর মধ্যে
হাতিয়ার ‘দুঃখ’ নদীভাঙন হলেও
হাতিয়াকে ঘিরে জেগে ওঠা চরগুলো
দ্বীপবাসীকে আশার আলো দেখাচ্ছে।
বয়ারচর, নঙ্গলিয়া, নলেরচর, কেরিংচর এবং
পুবদিকে উড়িরচর পর্যন্ত যে বিশাল এলাকা
ইতিমধ্যে জেগে উঠেছে তা ক্রমাগত দক্ষিণ
দিকে অগ্রসর হয়ে হাতিয়াকে ছুঁই ছুঁই করছে। এ
চরাঞ্চল মূল হাতিয়ার চেয়ে বড়, দীর্ঘতম
ভূখণ্ডের ইশারা দিচ্ছে বাংলাদেশকে।
হাতিয়া দ্বীপের দক্ষিণাংশে জেগে
উঠছে অনেক চর। নিঝুমদ্বীপের আশপাশের
চরগুলো যেভাবে পলিবাহিত হয়ে জেগে
উঠছে তা অব্যাহত থাকলে নোয়াখালী
জেলার চেয়েও বড় আয়তনের ভূখণ্ডের আত্মপ্রকাশ
ঘটবে নিঃসন্দেহে।
হাতিয়াকে ঘিরে বিশাল বিশাল আয়তনের
চরগুলো জেগে ওঠার বর্তমান হার অব্যাহত
থাকলে এবং নদী ও ভূবিশেষজ্ঞ দ্বারা আধুনিক
প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাতিয়ার ভাঙনের
মাত্রা কমানো গেলে অদূর ভবিষ্যতে গোটা
বাংলাদেশের চেয়েও বড় এক ভূখণ্ড সৃষ্টির
সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। নিঝুমদ্বীপ,
নলেরচর, কেয়ারিংচর, জাহাজেরচরসহ বেশ
কয়েকটি নতুন দ্বীপ যেন আরেক বাংলাদেশের
জানান দিচ্ছে। এর মধ্যে নিঝুমদ্বীপে গড়ে
উঠেছে ৫০ হাজার লোকের নতুন বসতি ও বনায়ন।
এ ছাড়া দ্বীপ হাতিয়ার পশ্চিমে ঢালচর,
মৌলভীরচর, তমরুদ্দিরচর, জাগলারচর, ইসলামচর,
নঙ্গলিয়ারচর, সাহেব আলীরচর; দক্ষিণে
কালামচর, রাস্তারচরসহ অন্তত ১৫টি দ্বীপ ১৫-২০
বছর আগ থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে
উঠেছে। এ ছাড়া ঢালচর, নলেরচর,
কেয়ারিংচর, মৌলভীরচরসহ কয়েকটি দ্বীপে
জনবসতি গড়ে উঠেছে। এসব দ্বীপে বন বিভাগ
সবুজ বনায়ন করেছে। তবে জলদস্যু-বনদস্যুদের ভয়ে
বাকি দ্বীপগুলোতে এখনো বসবাস শুরু হয়নি।
এখনো অন্তত ৪০-৫০টি ডুবোদ্বীপ রয়েছে, যা
আগামী পাঁচ-সাত বছরের মধ্যে জেগে উঠবে
বলে আশা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, সাগর বুকের অসংখ্য ডুবোচরকে
স্থায়ীভূমিতে পরিণত করতে সেখানে
প্রাণপণ লড়াই চালাচ্ছে বন কর্মীরা। তাদের
নীরবে নিভৃতে পরিচালিত সে বিপ্লবে আরও
২০ হাজার বর্গমাইল ভূখণ্ড মানচিত্রে সংযুক্ত
করার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। ম্যানগ্রোভ বন
সৃজনের মাধ্যমে পলিমাটি আটকে তৈরি করা
হচ্ছে নিঝুমদ্বীপের মতো দৃষ্টিনন্দন বনাঞ্চল।
ফলে কয়েক বছরের চেষ্টাতেই জেগে থাকছে
চরভূমি, গড়ে উঠছে দ্বীপখণ্ড।
বঙ্গোপসাগরের নোনাজল হটিয়ে তার বুকে
গড়ে তোলা হচ্ছে একেকটি দ্বীপখণ্ড-সৃজন হচ্ছে
বনভূমি, গড়ে উঠছে বসতি। এরই মধ্যে
বঙ্গোপসাগরের বুকজুড়ে প্রায় ২২০০ বর্গমাইল
আয়তনের ভূখণ্ড গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে, তৈরি
হয়েছে নিঝুমদ্বীপের মতো দৃষ্টিনন্দন বনাঞ্চল।
এ কাজ থেমে নেই, তবে চলছে বড়ই
ঢিমেতালে। আছে অর্থ সমস্যা, জনবল সংকট-
সর্বোপরি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে
অগ্রাধিকারভিত্তিক গুরুত্বও পাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ শেষে
জানিয়েছেন, শিগগিরই আরও বিপুল আয়তনের
ভূখণ্ড বাংলাদেশের মানচিত্রে যুক্ত হওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ মুহূর্তে পানি ও
পলির ক্ষেত্রে কিছু প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার
পরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়া খুব জরুরি বলে মন্তব্য
করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, সাগর
বুকের ভূমি উদ্ধার ও ব্যবস্থাপনার জন্য যেসব
প্রযুক্তির প্রয়োজন, সেগুলো বাংলাদেশের
বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে উদ্ভাবনও করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা জানান, সমুদ্র বুকে জেগে ওঠা ৪০
হাজার হেক্টর ভূমিকে এখনই স্থায়িত্ব দেয়া
সম্ভব। পর্যায়ক্রমে এর পরিমাণ দুই লক্ষাধিক
হেক্টরে বিস্তৃত হতে পারে। সেখানে
বসবাস, চাষাবাদ ও বনায়নের ব্যাপক সুযোগ
সৃষ্টি হবে বলেও আশা প্রকাশ করছেন তারা।
নিঝুমদ্বীপের কাছাকাছি এলাকাতেও
কয়েকশ বর্গকিলোমিটারের নতুন চর জেগে
উঠেছে। সেখানে এখনই বসবাস উপযোগী
ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলাও সময়৷

৩০ হাজার রোহিঙ্গাঁ ভিটেছাড়া৷ ভিডিও সহ দেখুন???

৩০ হাজার রোহিঙ্গাঁ ভিটেছাড়া৷
ভিডিও সহ দেখুন??? 
HM HAMID বাইশারী.......




মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক
সহিংসতায় রোহিঙ্গা অধ্যুষিত চার শ'র
বেশি গ্রাম আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারনা
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম।
আর জাতিসংঘের কোঅর্ডিনেশন অব
হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স, ওসিএইচএ
জানিয়েছে, হামলার শিকার প্রায় ৩০
হাজার মানুষ ভিটেছাড়া। সেনাবাহিনী
ঘিরে রাখায়, কোনো সাহায্যও পাঠাতে
পারছে না আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
এদিকে শুক্রবার রাতে রোহিঙ্গাদের বহন
করা ৭টি নৌকা নাফ নদী থেকে ফেরত
পাঠিয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ থেকে
বাঁচতে রাখাইন রাজ্যের নেসাপ্রুং গ্রাম
থেকে পালিয়ে, দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে
বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, নূর হোসেন।
তাঁর পরিবারের ১৯ সদস্যের কপালে কি
ঘটেছে তা তার জানা নেই।
গত ৯ অক্টোবর তিন সীমান্ত চৌকিতে
সন্ত্রাসী হামলার পর, রাখাইন রাজ্যে
মিয়ানমার সেনাবাহিনী যে অভিযান শুরু
করেছে, তাতে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা
ভিটেছাড়া হয়েছেন বলে জানিয়েছে,
কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান
এ্যাফেয়ার্স, ওসিএইচএ। এই সংখ্যার সাথে
একমত পোষন করে আন্তর্জাতিক অভিবাসন
সংস্থা, আইওএম বলেছে, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত শত
শত গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা,
ইউএনএইচসিরও মনে করেন, অভিযানের মুখে
হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো মনে
করছে, ভিটেছাড়া মানুষের জন্য জরুরী
ভিত্তিতে, খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা দরকার।
না হলে বহু মানুষ অনাহারে রোগে শোকে
মারা যাবে।
কারণ, হতভাগ্য মানুষগুলোর আশ্রয় নেয়ার সব পথ
বন্ধ। সেনা অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৯ জন
রোহিঙ্গার মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে
মিয়ানমার। তবে এদের সবাইকে সন্ত্রাসী
দাবি করেছে দেশটি। যদিও এই তথ্যের
সাথে একমত নয়, আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম।
নিউজ সূত্রেঃ- চ্যানেল 24

শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬

মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও করবে চরমোনাইয়ের পীর৷

মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও করবে
চরমোনাইয়ের পীর৷ 
HM HAMID বাইশারী........... 

মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধে আগামী ১২
ডিসেম্বর ঢাকায় মায়ানমার দূতাবাস
ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে চরমোনাইয়ের
পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন
বাংলাদেশ।
মিয়ানমারে নির্বিচারে মুসলিম হত্যা,
নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং অমানবিক নির্যাতনের
প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে জাতীয়
প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ
সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন
ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য
মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-
মাদানী। সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাব থেকে
একটি মিছিল দৈনিকবাংলা ঘুরে বায়তুল
মোকাররম উত্তর গেইটে গিয়ে শেষ হয়।
সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন,
মিয়ানমারে পাইকারি হারে মুসলিম নিধন
চালাচ্ছে সরকার এবং সেনাবাহিনী।
বুধবার সেনাবাহিনী গুলি করে ৩০ জন
রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যা করেছে।
মিয়ানমারে নির্বিচারে মুসলিম গণহত্যা
বন্ধে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থা
চেখে ঠুসি দিয়ে বসে আছে। এরপর যদি
নির্বিচারে হত্যা বন্ধ না করা হয়, তাহলে
প্রয়োজনে মায়ানমার অভিমুখে লংমার্চ
কর্মসূচি ঘোষণা করবে দলটি।
অং সান সুচিকে হত্যাকারী হিসাবে উল্লেখ
করে তাকে দেয়া নোবেল পুরস্কার
প্রত্যাহারের আহবান জানান তিনি। ঢাকা
মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে
বারী মাসউদের সভাপতিত্বে সমাবেশে
বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান,
প্রকৌশলী আশরাফুল আলম ও মাওলানা আহমদ আবদুল
কাইয়ূম প্রমুখ।

মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৬

যে ভয়ংকর কারনে বাংলাদেশী ২ টাকা ভারতে বিক্রি হচ্ছে ৫ রুপীতে৷

যে ভয়ংকর কারনে বাংলাদেশী ২ টাকা ভারতে বিক্রি হচ্ছে ৫ রুপীতে৷ 
HM HAMID বাইশারী............. 
সম্প্রতি বেনাপোলে বিপুল পরিমান দুই টাকার নতুন নোটসহ আটক ভারতীয় নাগরিক (ফাইল ফটো)ভারতে বাংলাদেশি দুই টাকার নতুন নোটের দাম ৫ রুপি। যা হেরোইন ও ইয়াবার মরণ নেশার সুখটানে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণে বেনাপোল সীমান্তের চোরাইপথ এবং আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পাচার হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত এই নোট। আর বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় ৫ রুপিতে।



ভারতে যারা নেশা করেন তাদের ভাষায়, পান্নী অর্থাৎ পাইপ তৈরিতে বাংলাদেশের দুই টাকার নতুন নোট ব্যবহার করা হয়। হেরোইন ও ইয়াবা আগুনের তাপে গরম করলে তরল হয়ে যায়। ওই তরল পদার্থ থেকে একটি ধোঁয়া বের হয়। সেই ধোয়া পান্নী বা পাইপের মাধ্যমে সেবন করতে হয়। আগে এ ধরনের পাইপ তৈরিতে আগে ব্যবহৃত হতো সিগারেটের প্যাকেটের ভিতরে থাকা জরির কাগজটি।

ইয়াবা ও হেরোইন সেবনকারীরা জানিয়েছেন, অন্য কাগজের পাইপ আগুনের অল্প তাপেই পুড়ে যায়। একবার নেশা করতে হলে তিন/চার বার পাইপ পাল্টাতে হয়। এই ঝামেল থেকে মুক্তি পেতে বাংলাদেশি দুই টাকার নতুন নোট ব্যবহার করা হয়। এটি দিয়ে পাইপ তৈরি করলে একবারেই নেশার কাজ শেষ হয়। কারণ এ নোট বিশেষ ধরনের কাগজ দিয়ে তৈরি হওয়ায় তা সহজে আগুনে পোড়ে না ও সহজে পানিতে ভিজে যায় না। তাই ভারতে মাদকসেবীদের কাছে নেশার পরিপূর্ণ সুখটান দিতে বাংলাদেশি দুই টাকার নোট খুবই জনপ্রিয়।

ভারতীয় অসাধু ব্যবাসয়ীরা অধিক মুনাফার লোভে পাসপোর্ট এবং চোরাই পথে বাংলাদেশে এসে দুই টাকার নতুন নোট পাচারে জড়িত। ভারতীয় ১ টাকা ৮০ পয়সা দিলেই বিনিয়োগ করলেই ২ টাকা ২০ পয়সা লাভ হচ্ছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশি দুই টাকার নতুন নোট ভারতে পাচারকালে বেনাপোল চেকপোস্টের নোম্যান্সল্যান্ড থেকে বিজিবির হাতে আটক হয় দুই ভারতীয় নাগরিক। এদের মধ্যে গত ৩ নভেম্বর ২৬ হাজার নতুন ২ টাকার নোট নিয়ে আটক হয় নাসিম উদ্দিন। সে ভারতের পশ্চিম বাংলার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ইকবালপুর এলাকার বাসিন্দা। তার পাসপোর্ট নম্বর এম-২০২৫৬৯৫ এবং গত ১০ নভেম্বর নোম্যান্সল্যান্ড থেকে বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের বিজিবির সদস্যদের হাতে আটক হয় কলকাতার আরমান স্ট্রিটের ইউসুফ আলীর ছেলে নাসের উদ্দিন। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বাংলাদেশি ৪১ হাজার ৬শটি বাংলাদেশি দুই টাকার নতুন নোট।

নতুন দুই টাকার নোট পাচার এবং এই টাকা কি কাজে ব্যবহার হচ্ছে জানতে চাইলে বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশি টাকা অবৈধভাবে পাচার হোক তা কোনোভাবেই আমারা চাই না। আর এটা কি কাজে ব্যবহার হয় সঠিক জানা নেই ।’

গজলটির চম্বুকাংশঃ হবে এলান, তুমারী নাম, মসজিদের মাইকে৷ বাড়ি ওয়ালা নাইরে বাড়ী, নাইরে দুনিয়াতে....

শুনুন আর শুন্তে থাকুন৷ 
 
HM HAMID বাইশারী.......... 
আমাকে আপনাকে, 

দুনিয়ার মোহ থেকে, 
একটু হলেও, 
পিরাতে পারে এই ইসলামী গজলটি৷ 
গজলটির 
চম্বুকাংশঃ 
হবে এলান, তুমারী নাম, 
মসজিদের মাইকে৷ 
বাড়ি ওয়ালা নাইরে বাড়ী, 
নাইরে দুনিয়াতে.... 
বাকিঅংশঃ ভিডিওতে৷ 
আপনি শুনুন, 
শেয়ার করে অপর ভাইকে, 
শুনার জন্য, 
সূব্যবস্তা করে দিন৷ 
কন্ঠেঃ...............
মোহাম্মাদ নাঈমুল হক শিহরণ শিল্পী গোষ্ঠী৷

আল্লামা হাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী সাহেবের হাতে কালিমা পড়ে মুসলিম হলেন, এক হিন্দু ভাই৷

আস্সালামু আলাইকু৷ 
গতকাল মাহ্ফীলে, 
যা আমায় মুগ্ধ করেছে৷ 
বয়ানের চম্বুকাংশ নিচে............৷ 
 
HM HAMID বাইশারী............ 
বিশ্ব্যবরন্য আলেম, 
আল্লামা হাফিজুর রহমান 
ছিদ্দিকী কোয়াকাটা হুজুর (দাঃবাঃ)এর  
বয়ানের কিছু গুরুত্যপূর্ণ সময়, 
শুরুতেঃ 
এক সময় হযরত বল্লেন..... 
আমি কিছু ওয়াজ নাসিহাত ও 
ক্বিস্সা কাহানী বলবো, 
হযরত বল্লেন ক্বিস্সা কাহানির কথা 
এই জন্য বল্লাম, 
যে, অনেক মাস্তানেরা বলে থাকে, 
হুজুরেরা ওয়াজ করতে বসলে শুধুই, 
ক্বিস্সা কাহানী বলে বলে, 
বয়ান শেষ করে দেই, 
তারপর অযশ্র দলিলঃ 
হাজার হাজার শ্রুতার উদ্যেশ্যেঃ 
প্রশ্নঃ 
আল্লাহ্ তাআলা কি কোরআনে, 
ক্বিস্সা কাহানী বলেন্নি??? 
সকল শ্রুতার বজ্র কন্ঠে আওয়াজঃ 
উত্তরঃ
হ্যাঁ৷ 
হাদিসের ব্যপারে, 
প্রশ্নঃ 
হুজুর (সাঃ) হাদিসে, 
ক্বিস্সা কাহানী বলেন্নি??? 
উত্তরঃ 
হ্যাঁ, 
তবে আমরা মৌলানারা, 
ঐ কোরআন হাদিসের, 
ক্বিস্সা কাহানী আপনাদেরকে শুনাইলে, 
দোষ কুথায়????? 
সকলের মুখে চায়না তালার লক্ড পইরা গেলো৷ 
শেষের কথা,
হুজুরের সাথে যখন, 
হাজার হাজার তৌহিদী জনতা, 
সাক্ষ্যাৎ করতে যায়, 
স্টেইজ, 
এতো মানুষের ভারসম্য, 
সইতে না পেরে, 
এক সময় সে মাঠির সাথে মিশে যায়, 
মানে স্টেইজ ভেঙ্গেঁ পড়ে, 
হতাহতো হয়নি, 
সবাই দণ্ডায়মান অবস্থায় ছিলো৷ 
আলহামিদুলিল্লাহ৷ 
চম্বুকাংশঃ 
আলহামদুলিল্লাহ৷ 
একজন হিন্দু, হিন্দু ধর্ম ত্যাগপূর্বক, 
হযরতের মুখে মুখে কালিমা পড়ে, 
ইসলাম ধর্মকে আকড়ে ধরেন(গ্রহন করেন)৷ 
বিশেষ ভাবে দোয়া চাই, 
আমাদের নবমুসলিম ভাইটির জন্য, 
আল্লাহ তাআলা যেনো, 
ভাইটিকে সারা জীবন, 
হেদায়াতের উপর অটল ও অবিচল রাখেন৷ 
আমীন আমীন ছুম্মা আমীন৷ 
আর 
হযরতের বয়ান সমূহ্ আমরা যেনো, 
আমল করেতে পারি৷ 
আমীন৷ 
স্থানঃ ঈদগড়৷ 
বিস্তারিতো......
ঈদগড়, রামু, কক্সবাজার, 
চট্টগ্রাম, ঢাকা, বাংলাদেশ, 
দক্ষ্যিন মহা এশিয়া৷ 
আয়োজকঃ 
ঈদগড় ইসলামী সম্মেন সংস্থা৷ 
আলেম ওলামা ও সর্বস্তরের জনস্বাধারন৷ 
জাঝা-কাল্ল-হ৷ 
ঈদগড় বাসিদেরকে, 
এমন একটি, 
নূরানী মূহুর্ত, 
সকলকে উপহার দেওয়ার জন্য৷ 

শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৬

আল্লাহ যেনো আমাদেরকে, বাঝে কাজের তাফীক না দেন৷

আল্লাহ যেনো আমাদেরকে, পাপ কাজের, তাওফীক না দেন৷ 

HM HAMID বাইশারী.........
দরজাটা বন্ধ করে উত্তেজনায় ঘেমে জবজবে
হয়ে ১
জিবির HD পর্ণ ভিডিওটি ডাউনলোড শেষে মাত্র
দেখা শুরু
করলো - মৃত্যু উপস্থিত, স্ক্রীণে চলতেই
থাকলো
সেই...
- সিগারেটটায় আগুন দিয়ে আয়েশ করে একটা টান
দিলো
মাত্র...মৃত্যুর ডাক এসে গেল।
- পাক্কা তিন মাস মোবাইলে কয়েক হাজার টাকা খরচ
করে ৯২
রাত না ঘুমিয়ে আজই মাত্র লিটনের ফ্ল্যাটে
মেয়েটাকে
নিয়ে ঢুকলো, শরীর স্পর্শ করল। এসে গেল
মৃত্যুর
পরোয়ানা...
- ভিডিও কলে কালিজার টুকরো বয়ফ্রেন্ডকে
শরীরের
সমস্ত অঙ্গ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরিচয় করিয়ে দেয়ার
মূহুর্তে
হঠাৎই নিঃশ্বাসটা থেমে গেল, পড়ে রইলো উলঙ্গ
নিথর
দেহটি...
-আজ জন্মদিন, বন্ধুদের বায়না বিদেশী মদ
খাওয়াতে হবে।
অনেক কাঠখড় পুড়ে মাত্র ছিপি খুলে ঢাললো।
এরই মাঝে
মৃত্যু...
এই মৃত্যুর চরিত্র গুলো কিন্তু আমাদের
আশেপাশেই
থাকে। হাজারো স্বপ্ন ছিল চোখে। মৃত্যুটা তাদের
সব সাধ
ছোট বড় ইচ্ছাগুলো মূহুর্তের মধ্যে ধূলিস্মাৎ
করে
দিয়েছে। কিন্তু মৃত্যুটা কোন অবস্হায় হচ্ছে এটাই
একজন
মুসলিমের জন্য অনেক বড় বিষয়। পাপের জারিয়ায়
জড়িয়ে
মৃত্যু হলে ঠিকানা সোজা জাহান্নাম। পাপে মত্ত
থেকে
সুন্দর মৃত্যু অসম্ভব, আশা করাটাইতো বোকামি৷ 
মহান আল্লাহ আমাদের জন্য যেন এই ধরণের মৃত্যু
নির্ধারণ না করেন। আমিন, আমিন, আমিন।

বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬

হুজুর (সাঃ) কতৃক, জান্নাতি মানুষের পরিচয়ঃ-

হুজুর (সাঃ) কতৃক জান্নাতি মানুষের পরিচয়ঃ-
HM HAMID বাইশারী............. 

মহানবী (সাঃ) একদিন মসজিদে বসেআছেন।সাহাবীরা তাঁকে ঘিরে আছেন। এমন সময়মহানবী (সাঃ) বললেন, “এখন যিনিমসজিদে প্রবেশ করবেন,তিনিবেহেশতের অধিবাসী।”একথা শুনে উপস্থিত সব সাহাবী অধীরআগ্রহে তাকিয়ে রইলেন মসজিদেরপ্রবেশ মুখে। সবার মধ্যে জল্পনা কল্পনাচলছে, হয়তো হজরত আবু বকর (রাঃ) বাহজরত উমর (রাঃ) অথবা এমন কেউআসছেন যাঁদের বেহেশতের সুসংবাদআল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন।সবাইকে অবাক করে দিয়ে মসজিদেপ্রবেশ করলেন একজন সাধারণ আনসারসাহাবী। এমনকি তাঁর নাম পরিচয় পর্যন্তজানা ছিল না অধিকাংশের।এরপরের দিনেও সাহাবীরা মসজিদেবসে আছেন নবীজি (সাঃ) কে ঘিরে।নবীজি (সাঃ) আবার বললেন, “এখন যিনিমসজিদে প্রবেশ করবেন,তিনিবেহেশতের অধিবাসী।” সেদিনওমসজিদে প্রবেশ য সেই সাহাবী।তৃতীয় দিন নবীজি(সাঃ) সাহাবীদেরলক্ষ্য করে আবার ঘোষণা দিলেন, “এখনযিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন, তিনিবেহেশতের অধিবাসী।”এবং সাহাবীরাদেখলেন সেই অতি সাধারণ সাহাবীমসজিদে প্রবেশ করলেন।পরপর তিনদিন এই ঘটনা ঘটারপর,সাহাবীদের মধ্যে কৌতূহল হলো সেইসাধারণ সাহাবী সম্পর্কে জানার জন্য।তিনি কেন অন্যদের চেয়ে আলাদা তাজানতে হবে।বিখ্যাত সাহাবী হজরত আবদুল্লাহ ইবনেআমর আল আ’স (রাঃ) ভাবলেন, এইসাহাবীর বিশেষত্ব কী তা জানতে হলেতাকে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করতেহবে। তিনি সেই সাহাবীর কাছে গিয়েবললেন,“আমার বাবার সাথে আমারমনোমালিন্য হয়েছে, তোমার বাড়িতেকি আমাকে তিনদিনের জন্য থাকতে দেবে?’’সেই সাহাবী রাজী হলেন।হজরতআবদুল্লাহ (রাঃ) তাঁকে গভীরভাবেপর্যবেক্ষণ করতে থাকলেন,খুঁজতেথাকলেন কী এমন আমল তিনি করেন।সারা দিন তেমন কোন কিছু চোখে পড়লনা। তিনি ভাবলেন হয়তো তিনি রাতজেগে ইবাদত করেন। না, রাতের নামাযপড়ে তো তিনি ঘুমাতে চলে গেলেন।উঠলেন সেই ফজর পড়তে। পরের দুটি দিনওএভাবে কেটে গেল। হজরত আবদুল্লাহ(রাঃ) কোন বিশেষ আমল বা আচরণআবিষ্কার করতে পারলেন না যাঅন্যদের চেয়ে আলাদা।তাই তিনি সরাসরি সেই সাহাবীকেবললেন, “দেখ আমার বাবার সাথে আমারকোন মনোমালিন্য হয় নি, আমি তোমাকেপর্যবেক্ষণ করার জন্য তোমার বাড়িতেছিলাম। কারণ নবীজি (সাঃ) বলেছেনযে তুমি জান্নাতি। আমাকে বল তুমিআলাদা কী এমন আমল করো?’’সেই সাহাবী বললেন, “তুমি আমাকেযেমন দেখেছ আমি তেমনই,আলাদাকিছুতো আমার মনে পড়ছে না।”এ কথা শুনে হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ)তাঁকে বিদায় জানিয়ে চলে যেতেথাকলেন। এমন সময় সেই সাহাবী হজরতআবদুল্লাহ (রাঃ) কে ডেকে বললেন,‘আমার একটা অভ্যাসের কথা তোমায়বলা হয়নি –"রোজ রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আমিতাদেরকে ক্ষমা করে দেই, যারাআমাকে কষ্ট দিয়েছে বা আমার প্রতিঅন্যায় করেছে। তাদেরুপ্রতি কোনক্ষোভ আমার অন্তরে আমি পুষে রাখিনা”হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) এ কথা শুনেবললেন, “এ জন্যই তুমি আলাদা, এ জন্যইতুমি জান্নাতি”। রাসূল (সাঃ)বলেছেন,যে মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহওতার প্রতি দয়া করেন না।[বুখারী ও মুসলিম]

বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৬

ট্রাক পিলার, সমাসার৷

ট্রাক বিজয়ি হওক,
বা
পিলার বিজয়ি হওক,
আমার কিছু যায় আসেনা৷ 
HM HAMID বাইশারী...........

মনে রাখবেন দুটুই কিন্তু বিলাতি ইয়ের ছানা,
ইসলামের ক্ষতি কোনো বেদুই কবু করতে পারবেনা,
মুসলিম নাম ধারি (ফেক মুসলিম) মুনাফেক ছাড়া৷
বিঃদ্রঃ
ইসলামের বিরুদ্ধ্যে অপশক্তি গুলো,
যতো শক্তি শালি হবে,
মুসলিমদের ঈমান,
আল্লাহ তাআলা,
আরো দৃঢ় করে দিবে৷
ইন-আল্ল-হ৷

হেদায়াত হবে কবে????

৩০/জুলাই/২০১৫ এর............
গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ইমরান এইচ
সরকার সঠিক পরিচয় জানতে চেয়েছেন রাষ্ট্রের
সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ৷ 

সুপ্রিম কোর্ট
ইমরান সম্পর্কে বিস্তারিত
তথ্য চান বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন অ্যাটর্নি
জেনারেল মাহবুবে আলম।
ইমরান এইচ সরকার কে কোথায় তার ঠিকানা তা নিয়ে
বাংলাদেশের জনপ্রিয় নিউজ “দিনকাল” একটি
প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তার হুবহু নিন্মে তুলে
ধরা হল।”প্র্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার
নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের
বেঞ্চ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর
মৃত্যুদণ্ড বহালের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণার
পরপরই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের
কাছে ইমরান এর ব্যক্তিগত তথ্যসহ বিস্তারিত
জীবনবৃত্তান্ত ও ঠিকানা জানতে চান।এ্যাটর্নি
জেনারেল মাহবুবে আলমকে এ বিষয়ে আদেশ
দিয়ে আদালত বলেন, আপনি ইমরান এইচ সরকারের
বিষয়ে সব কিছু আদালতে জমা দেবেন। কেন
ইমরান এইচ সরকারের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে
হবে তা এ্যাটর্নি জেনারেল জানতে চাইলে
আদালত বলেন, তিনি বিভিন্ন রায়ের আগে ও পরে
রায় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাই তার
জীবনবৃত্তান্ত জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্র্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার
নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন
আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
উল্লেখ্য,
ইমরান এর গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার
রাজীবপুর উপজেলার বালিয়ামারী বাজারপাড়া গ্রামের
এলাকাবাসীরা জানান, এমরানের দাদা খয়ের উদ্দিন
ছিলেন একজন চিহ্নিত রাজাকার। মুক্তিযোদ্ধারা
একাত্তর সালেই রাজাকার খয়ের উদ্দিনকে
বিএসএফের সহযোগিতায় হত্যা করে।
খয়ের উদ্দিন সম্পর্কে রাজীবপুর উপজেলা
আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের
কমান্ডার আবদুল হাই সরকার জানান, ইমরানের দাদা
খয়ের উদ্দিন কোনোদিনই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন
না। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাকে বিএসএফের
সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা করে।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্র
জানায়, ইমরানের বাবা আবদুল মতিন সরকারও ছিলেন
তার দাদার অনুসারী। দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর
জীবন বাঁচাতে মতিন সরকার প্রথমে সিপিবি এবং
পরে সুযোগমত ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগে
আশ্রয় নেন।
স্বাধীনতার পর ঢাকায় থাকা তার আত্মীয়স্বজন ডা.
ইমরানের পরিবারকে শহীদ পরিবার বানিয়ে সরকার
থেকে একটি বাড়ি বরাদ্দ নেয়। পরে বিষয়টি ভুয়া
বলে জানাজানি হয়ে গেলে বাড়িরটির বরাদ্দ বাতিল
হয় বলে জানা যায়।
আলেমদেরকে কেমন করে হেও করে, 
তাও একটু জেনে নিন??? 
এই ছবি থেকে.... 


এটি কি সাম্প্রদায়িকতা নয়?
এদেশে হিন্দু -মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর জন্য,
আলেমদের উপর কেন মিত্যাচার করছে ??
কোন প্রমাণ আছে কি, মোল্লারা
মন্দিরের মূর্তি চুরি করছে?
কুথ্যেকে , এই সব উসকানি মূলক
পোষ্ট করার সাহস পাই?
মূর্তি চুরি করছে কারা - দোষ দেওয়া হচ্ছে
কাদের?

নিজেকে আংশিক বুঝার রাস্তা পায়, এই ঘঠনায়৷ মিলিয়নিয়ার রাজিহির জীবনের একটি ছোট্ট ঘটনা

নিজেকে কিছুটা বুজার রাস্তা পায়, এই ঘঠনায়৷
মিলিয়নিয়ার রাজিহির জীবনের একটি ছোট্ট ঘটনা৷ 


HM HAMID বাইশারী.............. 
ছবিতে যে শুভ্র শশ্রুর লোকটিকে দেখা যাচ্ছে তার নাম রাজিহি। এক বিরাট ধনকুবের। সৌদির বাসিন্দা। তিনি তাঁর জীবনের একটি গল্প বলছেন-
:
আমি ছিলাম নিতান্ত অসহায় গরিব। এতোটাই গরিব ছিলাম যে, একবার মাদ্রাসা থেকে একটি শিক্ষাসফরের ব্যবস্থা করা হল। ভ্রমণের জন্য জনপ্রতি মাত্র একরিয়াল করে ধার্য করা হয়েছিল। আমার কাছে অর্ধ রিয়ালও ছিল না। পরিবারের কাছে গিয়ে খুব কান্নাকাটি করলাম। কিন্তু পরিবার থেকেও এক রিয়ালের ব্যবস্থা হলো না। কারণ, পরিবার তখন ছিল নিঃস্ব রিক্ত।
:
শিক্ষা সফরের একদিন পূর্বে একজন দয়াদ্র ফিলিস্তীনী উস্তায আমাকে একটি রিয়াল দিলেন। আমি তো পরমানন্দে শিক্ষা সফরে শরিক হয়ে গেলাম। ঐ রিয়ালটা পাবার পর থেকে নিয়ে প্রায় দুমাস পর্যন্ত আমার মনে আনন্দের জোয়ার ছিল।
:
এর অনেকদিন পর যখন আমি পরিণত হলাম। জীবনে এলো অনেক সুখ সমৃদ্ধি। আল্লাহ তাআলা আমাকে অঢেল দান করলেন তখন একদিন সেই দয়ালু শিক্ষকের কথা মনে পড়ল।
ভাবলাম, উস্তাদজি কি আমাকে টাকাটা সদকা করেছিলেন না ঋণ দিয়েছিলেন।
সে সময় আনন্দের আতিশয্যে কিছুই জিজ্ঞেস করার সুযোগ হয়নি৷
:
কিন্তু এখন দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম। দ্রুত সেই মাদ্রাসায় গেলাম। সেই ফিলিস্তীনী উস্তাযের কথা জিজ্ঞেস করলাম। ছাত্ররা আমাকে উস্তাযের কাছে নিয়ে গেল।
:
দেখলাম উস্তাদজির অবস্থা সংকটাপন্ন। আজ তিনি বড় অসহায়। চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে বহুদিন। এখন কপর্দকহীন তিনি। আমি আমার পরিচয় দিয়ে বললাম, উস্তাদজি! আমি আপনার কাছে অনেক বড় ঋণী।
বললেন, সত্যি! আমি কি সত্যিই কারো কাছে অর্থ পাই! যেন বিশ্বাস করতে চাচ্ছেন না তিনি।
:
বললাম, আপনার কি মনে পড়ে আজ থেকে এতো বছর পূর্বে একজন ছাত্রকে একটি রিয়াল দিয়েছিলেন?
প্রথম প্রথম মনে করতে কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। একথা ওকথার পর মনে করতে পারলেন। তখন জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা! তুমি কি আমার ঋণ পরিশোধ করতে চাচ্ছ?
বললাম, জী উস্তাদজী!
:
এ বলে শ্রদ্ধেয় উস্তাযকে গাড়িতে উঠালাম। নিয়ে এলাম একটি সুন্দর বাগানবাড়ির ভেতর। বললাম, উস্তাদজী! এই হলো আপনার ঋণ পরিশোধ। এই বাড়ি ও গাড়ি আপনার।
:
উস্তাদজী যারপরনাই আপ্লুত ও বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, মাত্র এক রিয়ালের বিনিময়ে এতো বড় বাড়ি! এতো দামি গাড়ি! কী করে সম্ভব!!
বললাম, উস্তাদজী! আপনি আমাকে যে অর্থ দিয়েছিলেন তা এর থেকেও অনেক বেশি ছিল। সেই আনন্দ এখনো আমার হৃদয়ে অনুভব করি৷
))
এরপর শায়খ রাজিহি বলেন, মানুষের কষ্ট লাঘব করুন, তাকে খুশী করুন। প্রতিদান আল্লাহ দিবেন।
::
মিলিয়নিয়ার রাজিহি কে চেনেন?
}}
তিনি হলেন সেই ব্যক্তি দুনিয়ার বুকে সবচেয়ে বড় খেজুর বাগান তাঁর। 

এই বাগানে দুই লক্ষাধিক খেজুর গাছ রয়েছে। এর চেয়েও বড় বিষয় হলো শায়খ রাজিহী তাঁর গোটা খেজুর বাগানটিই ওয়াকফ করে দিয়েছে আল্লাহর রাহে। এই বাগান থেকে উৎপন্ন খেজুর বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে বণ্টন করা হয়। আর পবিত্র রমজান মাসে হারামাইন শারিফাইনে সারামাস ইফতারের জন্য যত খেজুর লাগে সব এই বাগান থেকেই বিনামূল্যে প্রদান করা হয়৷

সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৬

ক্বওমী মাদ্রাসার সনদ স্বীকৃতি নিয়ে, (৫টি কথা) যা বল্লেন শিক্ষ্যামন্ত্রী মহুদয়৷

ক্বওমী মাদ্রাসার সনদ স্বীকৃতি নিয়ে, যা বল্লেন শিক্ষ্যামন্ত্রী মহুদয়৷ 

শিক্ষামন্ত্রী জানালেন পাঁচ সিদ্ধান্তের কথা৷ 
HM HAMID বাইশারী.....
গতকাল সন্ধ্যায় বৈঠকে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আলেমদের সাথে দীর্ঘ সময় খুলামেলা প্রানবন্ত কথা বলেন। বৈঠকে আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ সাহেবের  নানান প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী সরকারের পাঁচটি সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন।

(এক) কওমি শিক্ষাসনদের স্বকৃতি চলমান কওমি মাদরাসা শিক্ষা কমিশনে চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ শফীর নেতৃত্বেই দেয়া হবে।

(দুই) আলেমরা যেভাবে চান সেভাবেই তাদের শর্তমেনে সরকার স্বীকৃতি দিবে। আলেমদের পরামর্শের বাইরে কোনো কিছু হবে না। এখানে সরকার কোন হস্তক্ষেপ করবে না। এটা আপনাদের অধিকার ও স্বার্থ সংনশ্লিষ্ট বিষয়, এর ভালমন্দ আপনারাই ভাল বুঝবেন। 

(তিন)সতের সালেই কওমি সনদের মান দিয়ে পরীক্ষা নিবে সরকার। মন্ত্রনালয় সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। বর্তমান কমিশনের মাধ্যমেও পরীক্ষা নেওয়ার কাজ চালানো যেতে পারে। এজন্য আপততো নতুন কতৃপক্ষ ঘোষনার প্রযোজন নেই।

(চার) বর্তমান শিক্ষানীতি সংশোধনের কাজ চলছে, শিক্ষা সংক্রান্ত জাতীয়  সিলেবাস প্রণয়ন কমিঠিতে আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

(পাঁচ) স্কুলের শিক্ষাসিলেবাসে ধর্মিয় কিছু ভুল থাকায় বেশ কিছু বই ছাপা হয়ে যাওয়ার পরও তা বাতিল করে আবার সম্পাদনা করে ছাপতে দিয়েছি। এরপরও ভুল থাকতে পারে উল্লেখ করে
মন্ত্রী বলেন, ভুল থাকলে আবার আপনাদের সাথে নিয়ে তা যাচাই করা হবে। স্কুল পাঠ্য বইয়ে পরবর্তীতে সংশোধনী কমিটিতে আলেমদেরকে রেখে সংশোধনী আনা হবে।

রক ক্লাইম্বারদেরও হার মানায় এই ছাগল!৷

রক ক্লাইম্বারদেরও হার মানায় এই ছাগল!
 
পর্বতারোহন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষের কাছে একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় বিষয়। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ পর্বতারোহনের নেশায় ছুটে বেড়ান বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। সাংঘাতিক ঝুঁকি উপেক্ষা করে পাহাড়ের চুড়ায় ওঠার মজাটাই নাকি একেবারে অন্য রকম! কিন্তু সফল পর্বতারোহনের জন্য চাই উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, একাধিক আধুনিক সরঞ্জাম এবং ট্যাঁকের জোর। কিন্তু যদি দেখেন, আপনি কষ্ট করে পাহাড়ে উঠছেন আর পাশ দিয়ে গটগট করে চলে গেল একটি ছাগল, তাহলে কেমন লাগবে? ছাগল আবার পাহাড়ে চড়ে নাকি? হ্যাঁ, এই ছাগল পাহাড়ে ওঠে, এবং অনায়াসেই। প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ে চড়ছে, উঠছে, নামছে শুধুমাত্র নিজেদের খাবার সংগ্রহের জন্য। এরা হল- মাউন্টেন গোট বা পার্বত্য ছাগল। পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা এই মাউন্টেন গোট-এর সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক।
* প্রধানত উত্তর আমেরিকার পার্বত্য এলাকায় দেখা মেলে এই মাউন্টেন গোটের। তবে পার্বত্য হিমালয় এবং রুক্ষ আফগানিস্তানেও দেখা মেলে এদের।

* খাবারের খোঁজে এই মাউন্টেন গোট প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ে অনায়াসে চড়ে যায়।

* এই মাউন্টেন গোট-এর ওজন ৪৫ কেজি থেকে ১৪০ কেজি পর্যন্ত হয়। সবচেয়ে আশ্চর্যের, এই ওজন নিয়েও খাবার সংগ্রহের জন্য হাজার হাজার ফুট উঁচুতে উঠে পড়ে এরা।

* প্রতিকূল আবহাওয়ায় টিকে থাকার জন্য এদের শরীর পুরু পশমে ঢাকা থাকে। মাইনাস ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা বা ১৬০ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগের ঝোড়ো হাওয়ার ধাক্কা সামলেও টিকে থাকতে সক্ষম মাউন্টেন গোট।

* একটি পূর্ণ বয়স্ক মাউন্টেন গোট থেকে বছরে প্রায় ৪০ কেজি উল পাওয়া যায়। কিন্তু এরা মোটেই পোষ মানে না। তাই উলের জন্য বাণিজ্যিক ভাবে এদের ব্যবহারও করা যায় না।

* এই মাউন্টেন গোট সাধারণত ১২ থেকে ১৫ বছর বাঁচে। এদের বেশির ভাগের মৃত্যু হয় দুর্ঘটনায়। কিন্তু চিড়িয়াখানায় বা বিশেষ সংরক্ষিত প্রকল্পে এদের আয়ু ১৫ থেকে ২০ বছর।

* সদ্যোজাত মাউন্টেন গোট-এর ওজনও প্রায় ৩ কেজি। একটি মাউন্টেন গোট জন্মানোর ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যেই পাহাড়ে চড়ার চেষ্টা শুরু করে দেয়।

* ৩০ মাস বয়সে পৌঁছালে একটি মাউন্টেন গোট প্রজননে সক্ষম হয়। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এদের প্রজননকাল। প্রজননকাল পেরোলেই পুরুষ ও মেয়ে মাউন্টেন গোট আলাদা আলাদা দলে বিভক্ত হয়ে যায়।



রবিবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৬

প্রিথিবির আজব আজব চাকরি গুলো, পড়লে মজা পাবেন

দুনিয়ার যত সব আজব চাকরী!
HM HAMID বাইশারী...... 
পড়লে মজা পাবেন........
রোজ চাকরি করতে করতে আপনি হাঁপিয়ে যাচ্ছেন একঘেয়ে কাজ কার আর ভাল লাগে বলুন।  কিন্তু শুনলে অবাক হবেন পৃথিবীতে এমন অনেক চাকরি আছে যাকে আপনি চাকরি হিসাবে ভাবতেই পারবেন না৷ পৃথিবীজুড়ে অনেক মানুষের বেঁচে থাকার রসদ যোগাচ্ছে এই চাকরিগুলি৷ চোখ রাখব এমনই কিছু অদ্ভুত পেশার দিকে। একঘেয়ে লাগলে আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন। মন্দ লাগবে না।

১/প্রফেশনাল পুশার

ট্রেনে-বাসে চলতে গেলে এই কথাটি প্রায়ই কানে আসে ‘দাদা ধাক্কা দেবেন না’। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই ধাক্কা দেওয়ার কাজটি কারও কারও পেশা হতে পারে। জাপান ও নিই ইয়র্ক সিটিতে রেলস্টেশনে ভিড়ের সময় প্রফেশনাল পুশাররা ধাক্কা দিয়ে ট্রেনের ভিতর লোক ঢুকাতে সাহায্য করে। আগে এটি স্টুডেন্টদের জন্য পার্টটাইম চাকরি ছিল। এখন এটি ফুল টাইম চাকরি হিসেবে অনেকেই বেছে নিচ্ছে।

২/ভাড়া করা প্রেমিকের চাকরি

আপনার কি কোনও প্রেমিক আছে?  না থাকলে নো চিন্তা বস! অনায়াসে ভাড়া করতে পারেন প্রেমিক। আজকাল ইন্টারনেটে এমনই সব লোভনীয় বিজ্ঞাপনের দেখা মেলে। ছবি, নাম সহ কার ভাড়া কত সব তথ্য থাকবে হাজির। তবে এটি কোনও বেআইনি কাজ না।  জাপান, চিন, আমেরিকা, ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোতে প্রেমিক ভাড়া দেওয়া হয়ে থাকে এবং এটি সেসব দেশে আইনসম্মত।

৩/বমি পরিষ্কারের চাকরি

ছোটদের বিভিন্ন পার্কে নানা ধরনের রাইড থাকে। আতঙ্ক থাকা সত্ত্বেও এসব রাইডে চড়ার লোভ  সামলাতে পারে না অনেকে। এরমধ্যে এমন কিছু রাইড আছে যাতে চড়ে বমি হয় না এমন মানুষ কমই আছে। তাদের তো আর চিন্তা নেই। বমি করেই খালাস। শুনলে অবাক হবেন সেসব বমি পরিষ্কারের কাজটি করে কেউ কেউ তার জীবিকা অর্জন করছে। তাদের শুধু পার্কের বমি পরিষ্কারের জন্যই রাখা হয়। আর তারা কোনোরকম অস্বস্তিবোধ ছাড়াই কাজটি করে থাকে।

৪/ডিওডোরেন্ট টেস্টার

এই পেশার মানুষদের দিনের পুরো সময়টা অন্যের শরীরের ডিওডোরেন্টের গন্ধ পরীক্ষা করতে হয়। কোন ফ্লেভারটি আমার, আপনার জন্য ভালো হবে এটা তারাই বাছাই করেন। ডিওডোরেন্টের গন্ধ সবচেয়ে বেশি বোঝা যায় বগল আর গলায়। তাই এই বিষয়ে পেশাদার পরীক্ষককে মূলত বগলের গন্ধই বেশি শুঁকতে হয়। একবার পরীক্ষককে শুঁকতে হয় বগলের দুর্গন্ধ থাকা অবস্থায়, তারপর তাঁকে শুঁকতে হয় সেন্ট না দিয়ে সাধারণ গন্ধ, একেবারে শেষে সেন্ট লাগানোর পর সুগন্ধে ভরা বগলের গন্ধ। এরপরই পরীক্ষক কোম্পানিকে রিপোর্টে লেখেন সেই বিশেষ সেন্ট বা ডিওডোরেন্টের পারফরম্যান্স, ভাল দিক- খারাপ দিক, বাজারে কতটা চলবে, সেই সব বিষয়ে।

৫/ওয়াটার স্লাইড পরীক্ষক

ওয়াটার কিংডমে গিয়ে জলের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আনন্দ করছেন। ওয়াটার স্লাইড দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নিচে নামছেন। কোনও ধরনের দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছেন না। এর কারণ ওয়াটার স্লাইড পরীক্ষক। আপনাকে সুস্থ রাখতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওয়াটার স্লাইড টেস্টার আগে থেকেই স্লাইডটি পরীক্ষা করে নেয়। এই স্লাইডে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না- এটা দেখার দায়িত্ব তাঁদের।

৬/লাইনে দাঁড়ানোর চাকরি

লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে কার ভাল লাগে। মাঝে মাঝেই মনে একটা যদি লোক পাওয়া যেত দাঁড়ানোর জন্য! হ্যাঁ, তেমন লোকও আছে। জাপানে এই প্রফেশনের চাহিদা খুব৷ কিছু মানুষ আপনার হয়ে লম্বা লাইনে দাড়িয় থাকবেন ঘন্টার পর ঘন্টা৷ তার পরিবর্তে আপনাকে শুধু টাকা দিতে হবে তাদের৷

৭/ঘুমানোর চাকরি

শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমন চাকরিও রয়েছে৷ ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই টাকা রোজকার করা সম্ভব৷ বৈজ্ঞানিকরা যখন কোনও ঘুমের ওষুধ বা ঘুম সংক্রান্ত কোনও বিষয় নিয়ে গবেষণা করেন তখন কিছু মানুষকে টাকার পরিবর্তে ওই ওষুধ বা গবেষণায় কাজে লাগানো হয়৷ ঘুমের পরিবর্তেই তাঁরা পাচ্ছেন টাকা৷

৮/বিয়ের অতিথি হওয়ার চাকরি

বিয়েতে অতিথির ঠেলায় জেরবার হয়ে যাও আমরা। এমনও দেশ আছে যেখানে অতিথি কম পড়ে। বিয়েতে অতিথি ভাড়া করা হয়৷ এমন চাকরিও আছে দুনিয়ায়৷ জাপানে এই কাজের প্রচলন রয়েছে৷ বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথির সংখ্যা বাড়াতে ভাড়া করা হয় অন্যদের৷ টাকার পরিবর্তে তারা বিয়েবাড়ি গিয়ে খেয়ে আসেন৷ তার সঙ্গে অর্থও পান৷

১০/কাঁদার চাকরি

রুদালি সিনেমা দেখে থাকলে আপনি এই চাকরি সম্পর্কে জানবেন৷ কিছু মানুষকে ভাড়া পাওয়া যায় কোনও মানুষের মৃত্যুতে কাঁদার জন্য৷ জাদের কাজই হল মানুষের মৃত্যুতে গিয়ে কেঁদে আসা এবং পরিবর্তে অর্থ সংগ্রহ৷

১১/আসবাব পরীক্ষক

আসবাব পত্র তৈরি হওয়ার পরে কিছু মানুষকে দিয়ে তার আরাম পরীক্ষা করানো হয়৷ অর্থাৎ কিছু মানুষ থাকে যাঁরা ওই আসবাবে শুয়ে বসে ঘুমিয়ে দেখে নেয় তাতে আরাম হচ্ছে কিনা৷ তার পরিবর্তে তাকে অর্থ দেওয়া হয়৷