জনপ্রিয় পোস্টসমূহ দেখুন

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৯

আমাদের দেশে ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়া একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা।

আমাদের দেশে ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়া একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। এইচ এম হামিদুর রহমান৷

মূলত ব্যবহারকারীদের অসতর্কতার কারনেই আইডি হ্যাক হয়ে থাকে। এ পোষ্টে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করা হবে যাতে করে আপনারা আপনাদের আইডিকে হ্যাক প্রুফ করতে পারেন।
------------------------------------------------------------
💦 আইডিতে সাধারনত যে সকল দুর্বলতা দেখা যায়-

❌ লগ ইনের সময় ইমেইল এড্রেসের পরিবর্তে মোবাইল নম্বরের ব্যবহার করা।

❌ ২ ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন না রাখা।

❌ দুর্বল ও অনুমান করা যায় এমন পাসওয়ার্ডের ব্যবহার (যেমন মোবাইল নম্বর, ডাক নাম, সন্তানের নাম, জন্ম তারিখ, পিতা মাতার নাম ইত্যাদি)

❌ রিকভারি অপশন চালু না রাখা।

❌ আপনার ফেসবুক আইডির নাম, জন্ম তারিখ, অরিজিনাল নাম ও জন্ম তারিখ থেকে আলাদা হওয়া।

❌ জন্ম তারিখ ওপেন রাখা।

❌ ফেসবুক ও যে মেইল দিয়ে ফেসবুক ওপেন করা হয়েছে তার পাসওয়ার্ড একই থাকা। তাহলে হ্যাকার যখন আপনার ফেসবুক হ্যাক করবে, সাথে সাথে আপনার ইমেইল ও হ্যাক হয়ে যাবে।
------------------------------------------------------------
💦 সিকিউর করুন আপনার ফেসবুক-

✅ মোবাইল নম্বরের পরিবর্তে ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করুন। কেননা আপনার পাসওয়ার্ড বা ইমেইল হ্যাকার চেঞ্জ করলে সাথে সাথেই ফেসবুক আপনার ইমেইলে মেইল পাঠিয়ে আপনাকে সতর্ক করবে। সেখানে রিকভারির লিংক দেয়া থাকে। তাতে ক্লিক করে আপনি সহজেই আইডি রিকভার করতে পারবেন।

✅ ফেসবুকের সেটিংস থেকে Security and login>use two-factor authentication এ গিয়ে আপনার মোবাইল নম্বর যুক্ত করুন। এর পর অন্য কোন মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে আপনার আইডি তে লগইন করার চেষ্টা করুন, দেখুন পাসওয়ার্ড দেবার পর কোড চায় কিনা। যদি চায় তাহলে আপনার ২ ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু হয়েছে। এখন কেউ আপনার ইমেইল+পাসওয়ার্ড জানলেও আপনার মোবাইল হাতে না পেলে হ্যাক করতে পারবে না।

✅ অনেকের পাসওয়ার্ড থাকে শুধু মাত্র সংখা দিয়ে যা অত্যন্ত দুর্বল। পাসওয়ার্ড তৈরি করুন Capital letter, small letter, number & symbol মিলিয়ে। ৮ ক্যারেক্টারের নিচে পাসওয়ার্ড না হওয়াই উত্তম।

✅ সেটিংস এ গেলে ১টি অপশন আছে Choose 3 to 5 friends to contact if you get locked out. এখানে আপনি আপনার ৩ থেকে ৫ জন কাছের মানুষকে যোগ করুন যাদের সাথে আপনার সরাসরি/ফোনে যেকোন সময় যোগাযোগ করতে পারবেন। যদি আপনার আইডি হ্যাক হয়ে যায় তাহলে তাদেরকে বলতে হবে Facebook .com/recover এ লিংকে যেতে। তারা সেখানে আপনার আইডি রিকভার করার জন্য কোড পাবে আর সে কোড ব্যবহার করেও আপনি আপনার আইডি রিকভার করতে পারবেন।

✅ বর্তমানে আইডি রিকভার করতে গেলে ফেসবুক ভিকটিমের আইডি কার্ডের ছবি চায়। কিন্তু দেখা যায় যে, আইডি কার্ডে যে নাম ও জন্ম তারিখ আছে তার সাথে ফেসবুকের নাম ও জম্ন তারিখ মেলে না। ফলে রিকভার করা সম্ভব হয় না। সুতরাং অবশ্যই আপনার আইডিতে যে নাম ও জন্ম তারিখ আছে তা ব্যবহার করুন।

✅ আপনার জন্ম তারিখ যদি ওপেন থাকে তাহলে আপনি ১ ধরনের আক্রমনের আওতায় রয়েছেন। ১ গ্রুপের হ্যাকার রয়েছে যারা আপনার ফেসবুকের নাম ও জন্ম তারিখ মিলিয়ে মিথ্যা পরিচয় পত্র তৈরি করে আপনার আইডির কন্ট্রোল আপনার কাছে নিয়ে নেয়। সুতরাং কখওই জন্ম তারিখ ওপেন থাকা উচিত নয়।
------------------------------------------------------------
💦 ফেসবুকে যে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা উচিত-

⚠ কখনোই আপনার একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি ফেসবুকে বিশেষ করে ম্যাসেঞ্জারে কারো সাথে শেয়ার করবেন না। দেখা যায় যে অনেকেই তার আপনজনের সাথে তাদের ব্যক্তিগত ছবি শেয়ার করে। পরবর্তিতে ঐ দুই জনের যে কোন একজনের ফেসবুক হ্যাক হয়ে গেলেই হ্যাকার ঐ সকল ছবি সংগ্রহ করে ব্লাকমেইল করা শুরু করে।

⚠ অনেকে ফেসবুকে সিক্রেট এলবাম তৈরি করে তাতে তার বিভিন্ন ছবি, সার্টিফিকেট, আইডি কার্ড সংরক্ষন করে থাকে। এটি হ্যাকারদের জন্য হীরার খনি। আপনার আইডি হ্যাক হওয়া মানে আপনার সকল ব্যক্তিগত তথ্য তার কাছে চলে গেল। এটা কখনোই করা উচিত নয়।

⚠ কোন লিংকে ক্লিক করে যদি ফেসবুকে রিডাইরেক্ট হয়ে যান ও সেখানে ফেসবুকের আইডি ও পাসওয়ার্ড দিতে বলা হয়, তাহলে সম্ভবত আপনাকে ফিশিং করা হচ্ছে। ভুলেও সেখানে আইডি, পাসওয়ার্ড দেবেন না। যে সাইটে গেলেন তার URL আগে খুব ভাল করে দেখে নিন। Facebook না Faecbook এ গেলেন? প্রয়োজনে অন্য ১টি ট্যাবে আলাদা ভাবে নিজে ব্রাউজ করে ফেসবুকে গিয়ে লগ ইন করুন।

⚠ হঠাৎ আপনার ইনবক্সে আপনার বান্ধবি ম্যাসেজ পাঠাতে পারে যে, আমি ওমুক ১টা ফেসবুক গ্রুপে গিয়ে দেখলাম যে তোর কিছু অসামাজিক ছবি আপলোড করা হয়েছে। নিচে লিংক দেয়া আছে। ক্লিক করলে আপনার ১টি এডিটেড ছবি ও তার নিচে লগ ইন করে বাকি সব ছবি ও ভিডিও দেখার জন্য বলা থাকতে পারে। এটাও এক ধরনের ফিশিং। আসলে আপনি লগইন করতে গেলে আপনার ফেসবুকের আইডি আর পাসওয়ার্ড চুরি হয়ে যাবে।

⚠ মোবাইলে যে সকল কোড আসবে তা কখনোই কারো সাথে শেয়ার করবেন না।

⚠ “ঘুম থেকে উঠলাম”, “ক্লাসে যাচ্ছি”, “কিছু ভাল লাগছে না” এই টাইপের স্টাটাস না দেয়া উচিৎ। ধরুন আপনি আপনার পুরো ফ্যামিলি নিয়ে ইদে গ্রামের বাড়ী বেড়াতে যাচ্ছেন। রেলগাড়ীতে উঠে ১টা স্টাটাস, বাড়ী পৌছে আর ১টা স্টাটাস দিলেন। আর আপনার ফ্রেন্ড লিষ্টে থাকা কোন এক জন ব্যক্তি বুঝে গেল যে আপনার বাড়ী ফাঁকা, আর এ সুযোগে আপনার বাসার সব চুড়ি করে নিয়ে গেল। আপনার একটি সাদামাটা পোষ্ট আপনার ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াতে পারে।

⚠ অনলাইনে যে কোন পোষ্ট বা কমেন্ট করার আগে চিন্তা ভাবনা করে করা উচিৎ।

পরিশেষে, আপনার ফেসবুক আইডি আপনার সম্পদ। এটির সিকিউরিটি ও আপনার কাছে, এ থেকে প্রদত্ত পোষ্টের দ্বায়িত্ব ও আপনার।

এনার্জি ড্রিংকস মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকরঃ এইচ এম হামিদুর রহমান...

এনার্জি ড্রিংকস মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকরঃ এইচ এম হামিদুর রহমান৷

এনার্জি ড্রিংকস মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর যা বিজ্ঞ ডাক্তাররা স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং তারা এগুলোর ক্ষতিকর দিক নিয়ে অনেক সতর্ক করেছেন।

এসব ড্রিংকস ফরমালিনের চেয়ে কোনো অংশে কম ক্ষতিকর নয়।

গবেষকরা বলেছেন এসব এনার্জি ড্রিংকসে ক্ষতিকর কেমিক্যাল রয়েছে এবং এগুলো মাদকতা ও ফিলিংস তৈরিতে কাজ করে। বেশি মাত্রার ক্যাফেইন শারীরিক নানারকম ক্ষতির কারণ হয়। যেসব শিশু ও তরুণ নিয়মিত এনার্জি ড্রিংক পান করে তারা এতে আসক্ত হয়ে পড়ে। এরপর ক্রমে বেশি মাত্রায় তা স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ক্যাফেইন একটি আসক্তি তৈরি করার মতো উপাদান। এটি কেন্দ্রীয় ও প্রান্তিক স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে। এটা পরিমিত বা মাঝারি মাত্রার হলে, পারফরম্যান্স, ধৈর্য ও মনোযোগ বাড়াতে পারলে তা বেশি মাত্রায় গ্রহণে মারাত্মক ক্ষতি হয়। তা ঘটাতে পারে উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, পেটের অসুখ ও হার্টের ছন্দে অনিয়ম।

কোল্ড ড্রিংকস ছিপি বা মুখ খোলা মাত্রই ফস করে কিছু গ্যাস বেরিয়ে যায়।

বের হওয়া গ্যাসে থাকে কার্বনডাই অক্সাইড, খাবার সোডা বা সোডিয়াম বাই কার্বনেট। এ ছাড়া থাকে সাইট্রিক এ্যাসিড, টারটারিক এ্যাসিডসহ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য। পানীয়কে মজাদার করার নিমিত্তে স্যাকারিন, সরবিটল, ম্যাটিটল ছাড়াও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়।

যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বোতলের মুখ খুললেই সবটুক গ্যাস বের হতে পারে না। তাই ড্রিংকসগুলো পান করার সাথে সাথে দেহে প্রবেশ করে ক্ষতিকর কার্বনডাই অক্সাইড।

অনেক সময় মাত্রারিক্ত সোডিয়াম-বাই-কার্বনেট রক্তে মিলে ক্ষারত্বের মাত্রা বাড়িয়ে অ্যালকালোসিসের সৃষ্টি করে। আর অ্যালকালোসিস কিডনি সমস্যা, অস্থিরতা, শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধাসহ আরও অনেক রোগের জন্ম দেয়।

না জানার কারণে ভ্রান্তধারণবশত ও লেবু বা কমলার স্বাদ মনে করে যেসব কোল্ড ড্রিংকস পান করি, সেসব কোমল পানীয় আমাদের দাঁতের এনালেলকে ক্ষয় করে দেয়। কোকাকোলা, সেভেনআপ, পেপসি, স্প্রাইট, ফান্টা, মিরিন্ডা, আরসি, টাইগারসহ আরও অন্যান্য পানীয়ের সোডিয়াম বাই কার্বনেট রক্তচাপ বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য এগুলো খুব মারাত্মক ক্ষতির কারণ৷

https://mobile.facebook.com/www.hmhamid.com.bd/about?lst=100009431611415%3A100009431611415%3A1571327109&refid=17

তথ্য সূত্রঃ ওইকিপিডিয়া৷

এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা সাইফুল৷

এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা সাইফুল৷ 


সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ রয়েছেন রাজধানীর উত্তর বাড্ডা দারুল হুদা আল ইসলামিয়া মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা সাইফুল ইসলাম। তাঁর গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায়। পরিবারে দাবি, একটি গাড়িযোগে মাদরাসার সামনে থেকে তাকে তুলে নেয়া হয়েছে। তবে কে বা কারা তাঁকে তুলে নিয়ে গেছে সেটি এখোনো নিশ্চিত হতে পারেনি পরিবার।

নিখোঁজের ভাই আবীর মাসুস জানান, চলতি মাসে ৮ তারিখে মাদরাসার সামনে থেকে গাড়িযোগে তার ভাইকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর থেকে তার আর কোন হদিস পাওয়া যায়নি। ভাইয়ের হদিস না মেলায় উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তাঁরা। এ ঘটনায় তার বাবা মো. সিদ্দিক উল্লাহ বাড্ডা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। যে গাড়িতে করে তুলে নেওয়া হয় সেটির সম্ভাব্য নাম্বার ৫১-১১৩৩ অথবা ৫২-১১৩৩।
বাড্ডা থানা পুলিশ জানায়, এক মাদরাসা শিক্ষকের নিখোঁজের ঘটনায় জিডি করেছেন তার পরিবার। বিভিন্ন সূত্র ধরে তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৯

জিঙ্গাসাবাদের পর ‘ছাড়া পেলেন’ মুফতি রিজওয়ান রফীকী সাহেব৷



জিঙ্গাসাবাদের পর ‘ছাড়া পেলেন’ মুফতি রিজওয়ান রফীকী সাহেব৷ 



বিতর্কিত সংগঠন হিযবুত তাওহীদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদানকারী বক্তা মুফতি রিজওয়ান রফিকী ছাড়া পেয়েছেন।আজ ১৩ অক্টোবর দুপুর ১ টার দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার মামলা বা অভিযোগের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যায় নি।
এর আগে শুক্রবার গাজীপুর বোর্ড বাজার এলাকায় “মারকাজুন নূর গাজীপুর” থেকে ডিবি পরিচয় রাত ৯টার সময় তাকে তুলে নেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছিলেন তার বড় ভাই মুফতি আব্দুল্লাহ সালেহী।
তবে আটকের পর থেকে পুলিশ বা ডিবি কার্যালয়ের পক্ষ থেকে কোন প্রকার বিবৃতি বা ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যায়নি। তবে গতকাল নির্ভরযোগ্য সূত্রে আমরা জানতে পারি তিনি ডিবি হেফাজতে ছিলেন।
আজ তার শুভাকাঙ্খীদের প্রচেষ্টায় দুপুর ১ টার দিকে মুক্তি পান তিনি। কিছু জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুফতি রিজওয়ান রফিকী।
তিনি আরো বলেন, যারা আমার জন্য দোয়া করেছেন আমার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন সকলের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। বিশেষ করে প্রশাসন ও পুলিশ ভাইদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তারা নিয়মিত আমার খোঁজখবর নিয়েছেন। সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে চেয়েছেন। এজন্য তাদের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা।
‘আমার প্রতি কোন প্রকার অত্যাচার বা অশোভন মূলক আচরণ করেনি পুলিশ ভাইয়েরা। যথেষ্ট সম্মান মর্যাদা ও আন্তরিকতা দেখিয়েছেন।’ যোগ করেন মুফতি রিজওয়ান রফিকী।
তবে কি কারণে তাকে তুলে নেওয়া হলো এবং জিজ্ঞাসাবাদে তাকে কি ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।

শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৯

কাশ্মীরে ২৭০০ গণকবর, লাশ আর লাশ!


ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে ২৭০০ গণকবরের খোঁজ পেয়েছে বলে দাবি করেছে ইন্টারন্যাশনাল পিপলস ট্রাইব্যুনাল অন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড জাস্টিস নামের একটি মানবাধিকার সংস্থা। 
শ্রীনগরের এক সংবাদ সম্মেলনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি। এতে গণকবরে কমপক্ষে ২৯০০ লাশ রয়েছে দাবি করে এর স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানায় সংস্থাটি। 

২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এ খবর প্রকাশ করে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দুই হাজার ৭০০ অজ্ঞাত, অশনাক্ত গণকবরে দুই হাজার ৯০০ মরদেহ রয়েছে। উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরা, বারামুল্লা ও খোপওয়ারা জেলার ৫৫টি গ্রামে এসব কবর রয়েছে।

সংস্থাটির দাবি, ৮৭ দশমিক ৯ শতাংশ মরদেহ নামহীন। তারা এ ক্ষেত্রে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করে।

বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০১৯

ঘরের শ্রেষ্ট সন্তান আসছে ঘরে৷

ঘরের শ্রেষ্ট সন্তান আসছে ঘরে৷

দেশে ফিরলেন দেশের রত্ন
দেশবাসী কি করবেন যত্ন?

চট্টলার ফটিকছড়ির প্রাচীন তম ইসলামী বিদ্যাপিঠ, জামিয়া ইসলামিয়া আজীজুল উলুম বাবুনগর" যুগে যুগে এমন কিছু ক্ষনজন্মা যোগ্য আলেম জন্ম দিয়েছে যারা  শুধু দেশের জন্য নয় বরং মুসলিম বিশ্বের জন্য গর্ব হিসেবে পরিচয় লাভ করেন। তাঁদের মধ্যে একজন বিজ্ঞ আলেম হলেন "আল্লামা শায়খ হারুন আজীজী নদভী" (মঃজিঃ)।

আজীজুল উলুম বাবুনগর হতে দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) ও হাদীসের উচ্চ শিক্ষা কোর্স সমাপ্ত করেন "আজীজী"এবং ভারতের নদওয়াতুল উলামা হতে আরবী সাহিত্যে উচ্চ ডিগ্রী লাভ করায় নদভী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

তিনি যুগশ্রেষ্ঠ শায়খুল হাদীস হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ'র মহাসচিব আমার প্রিয় শায়খ ও মুর্শিদ,আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর হাতে গড়া আদর্শ ছাত্র।

তিনি হাফেজে কুরআন, হাদীস বিশারদ, আরবী প্রভাষক, লিখক ও গবেষক, বাহরাইনের দীর্ঘ দিনের খতীব ও আওক্বাফের পরীক্ষক, দায়ী।
এক কথায় তিনি  একজন আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার।

তখনকার সময় তিনি ভারত থেকে ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরলে বিভিন্ন বড় বড় মাদরাসা নিয়োগ দিতে চাইলেও নিজ শিক্ষকগণের নির্দেশনায় জামিয়া বাবুনগরে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত হন।

শুরু থেকেই তিনি হাদীসের উচ্চ শিক্ষা কোর্সে পাঠদানের দায়িত্ব পেয়ে ধন্য হন।

পরে বাহরাইনে ইমাম হিসেবে যাওয়ার পর খতীব সহ গুরুত্বপূর্ন পদে প্রায় ২২বছর খেদমত করে দেশ ও জাতির জন্য সুনাম সু- খ্যাতি কুড়িয়ে আনতে সক্ষম হন।

যা আমাদের দেশের জন্য বড় একটা অর্জন।

এবং হযরতের নিজ গ্রাম কক্সবাজার, রামু, গর্জনিয়ার বড়বিলে একটি দ্বীনের বাতি যা আল্লামা হারুন আজিজি দাঃ বাঃ এর মরহুম পিতা নজির আহমাদ (র.) এর হাতে গড়া বড়বিল এমদাদিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসা ও হেফজখানা এবং এতিমখানার নিবেদিত প্রাণ হিসেবে খেদমত করে আসছেন৷

পাশাপাশি আল-নজির ফাউন্ডেশন নামে গরিব দূঃখি মানুষের জন্য একটি ফান্ড নিয়ে সর্বদা তাদের পাশে থেকেছেন, আশা করি ভবিস্যৎ সময়েও এসমস্ত দ্বীনি কর্মে কোন ঘাটতি হবে না, ইনশাআল্লহ্৷

কিন্তু বাহরাইনে একজন বাংলাদেশীর অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে অন্যান্য ইমাম- খতীব এর মতো এই মহান রত্নকেও আজ বাহরাইন হারিয়েছে এবং দেশে ফিরতে হয়েছে।
আশা করছি জাতি এই রত্নকে যত্ন করতে সক্ষম হবেন।

আমি আমার প্রিয় মামার আরো উজ্জল ভবিষ্যত কামনা করছি।
আল্লাহ সকলের সহায় হোন,আমীন।

এইচ এম হামিদুর রহমান, বাইশারী৷

সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

জাতিসংঘে ইমরান খানের ভাষনের পূর্ণাঙ্গ বঙ্গানুবাদ
অনুবাদকঃ এইচ এম হামিদুর রহমান৷
নাম ছাড়া কপি করা নিষেধ


————————————
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ইয়াকানাবুদু ওয়া ইয়া কানাসতায়ীন

মি. প্রেসিডেন্ট। সম্মানিত সেক্রেটারি। ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ।

আজ আমি বিশ্ব নেতাদের এই ফোরামে আমার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে সম্মানিত বোধ করছি যেখানে আমাদের বিশ্বের সমস্যাসমূহ আলোচনার সুযোগ রয়েছে।

এইচ এম হামিদুর রহমান৷

আমি অনেক সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চাই, তবে আজ শুধু চারটি নিয়ে আলোচনা করি।
এবং বিশেষকরে আমার দেশ কঠিন সময় ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সত্ত্বেও আমি এই ফোরামে এসেছি । আমি হয়তো আসতামনা কিন্তু খুবই জরুরী সমস্যাগুলো বিশ্ববাসীর অবশ্যই জানা প্রয়োজন।

এইচ এম হামিদুর রহমান৷

প্রথমেই আমি শুরু করতে চাই জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে। অনেক নেতা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলেছেন, কিন্তু মি. প্রেসিডেন্ট আমি তারা প্রকৃতপক্ষে বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করছেন না। অনেক বিশ্বনেতা যারা এই বিষয়ে কিছু করতে চান তারাও পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পারছেন না। আমাদের অনেক আইডিয়া আছে। কিন্তু বলা হয়ে থাকে, অর্থায়ন ছাড়া আইডিয়া শুধুমাত্র অবাস্তব কল্পনা।
পাকিস্তান, আমি আমার নিজ দেশের সম্পর্কে আপনাদের বলছি। পাকিস্তান হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রভাবিত বিশ্বের প্রথম দশটি দেশের একটি। আমরা আমাদের নদীসমূহের উপর নির্ভর করি। পাকিস্তান মূলত একটি কৃষিপ্রধান দেশ। আমাদের ৮০ ভাগ পানি আসে হিমবাহ (তুষারস্রোত) হতে, এসব হিমবাহ শুধুমাত্র পাকিস্তানের অংশ হতে নয় এমনকি ভারত হতেও, কারাকোরাম হিমবাহ, হিমালয় ও হিন্দুকুশ হিমবাহ হতে এবং এগুলো প্রবাহিত হয় বিপদজনক গতিতে। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের পর্বতসমূহে ৫০০০ হিমবাহ চিহ্নিত করেছি। আমরা সেখানে আশঙ্কা করছি বড় আকারের আকস্মিক বিপর্যয়ের।

এইচ এম হামিদুর রহমান৷

কেপি, পাকিস্তানের একটি রাজ্য যেখানে আমরা ৫ বছরে কয়েক বিলিয়ন গাছ লাগিয়েছি। এখন আমাদের লক্ষ্য ১০ বিলিয়ন গাছ রোপন করা। কিন্তু একটি রাষ্ট্র একা কিছু করতে পারে না। এখানে প্রয়োজন বিশ্বের সমন্বিত উদ্যোগ।

এইচ এম হামিদুর রহমান৷

তবে আমি আশাবাদী যে, সর্বশক্তিমান আমাদের বড় একটি শক্তি দান করেছেন – সেটা হচ্ছে মানবসম্পদ। আমরা বড় ও মহৎ কিছু করতে পারি। এবং এখানে আমি আশাবাদী বৃহৎ ও ভালো উদ্যোগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জাতিসংঘই নেতৃত্ব দিবে। ধনী দেশগুলোকে অবশ্যই চাপ দিতে হবে। গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমনের জন্য ধনী দেশগুলোরই মূলত দায় বেশি। সুতরাং আমি অনুধাবন করি এই বিষয়ে জাতিসংঘই নেতৃত্ব দিবে।

আমি এখন ২য় যে ইস্যুটি নিয়ে বলতে চাই তা খুবই জটিল একটি বিষয়।

এইচ এম হামিদুর রহমান৷

মি.প্রেসিডেন্ট, প্রত্যেক বছর বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা দরিদ্র দেশগুলো থেকে ধনী দেশগুলোতে প্রাচার হয়ে যাচ্ছে। মুদ্রা পাচার, কর ফাঁকি, পশ্চিমা দেশে বিলাসবহুল সম্পত্তি ক্রয়ের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদরা এটা করছে। মি. প্রেসিডেন্ট, উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য এটা ধ্বংসাত্মক। এর ফলে ক্রমশ ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর পার্থক্য আরো বাড়ছে। মাদক এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের মতো মানি লন্ডারিংকে একইভাবে ট্রিট করা হচ্ছে না। বর্তমানে দরিদ্র দেশগুলোর সম্পদ তাদের এলিটরা লুট করে নিচ্ছে।

এইচ এম হামিদুর রহমান৷

যখন আমি এক বছর পূর্বে আমার দেশের দায়িত্ব নিলাম, আমি দেখলাম গত ১০ বছরে আমাদের দেনার পরিমাণ চারগুণ বেড়েছে। সারা বছর আমরা যত রাজস্ব সংগ্রহ করি তার অর্ধেক ব্যয় হয়ে যায় দেনার দায় মিটাতে।

কিভাবে আমরা আমার ২২০ মিলিয়ন জনসংখ্যার ব্যয় নির্বাহ করবো যখন দেনা মিটাতে অর্ধেক অর্থ ব্যয় হয়ে যায়? আমরা দেখতে পাই, দুর্নীতিবাজ নেতাদের দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিং এর সম্পত্তি পশ্চিমা পুঁজিতে বিনিয়োগকৃত। এটা উদ্ধার করা আমাদের জন্য অনেক কঠিন।

লুট করা অর্থ উদ্ধার করা গেলে আমরা মানব উন্নয়নে সেটা ব্যয় করতে পারতাম। কিন্তু আইন এসব অপরাধীদের রক্ষা করছে। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে আইনজীবি নিয়োগ দেয়ার অর্থ আমাদের নেই।

আমাদের ধনী দেশগুলো হতে সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু মি. প্রেসিডেন্ট এটা খুব জটিল।

ধনী দেশগুলির অবশ্যই রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। দরিদ্র দেশগুলো হতো দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থের পাচার তারা অনুমোদন দিতে পারে না। কিভাবে দরিদ্র দেশগুলো জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (SDG) অর্জন করবে যেখানে মানব উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ অর্থ সহজেই আমাদের দেশসমূহ হতে পাচার হয়ে যাচ্ছে?

এইচ এম হামিদুর রহমান৷

ক্ষমতাশীল এলিটদের বিদেশী ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ প্রাচার করতে সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। আমি বুঝতে পারি না, কেন ট্যাক্স হেভেন অনুমোদিত। (ট্যাক্স হেভেন হলো এমন দেশে যারা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের খুবই কম ট্যাক্সে বিনিয়োগের সুযোগ প্রদান করে)। মি. প্রেসিডেন্ট, কেন এই ট্যাক্স হেভেন? কেন এটা অনুমোদিত? কেন গোপন হিসাব?
বিশ্বে পরিবর্তন হচ্ছে। গরীব আরো গরীব হচ্ছে এবং ধনী হচ্ছে আরো ধনী। এটা বড় একটি সংকট তৈরি করবে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবিকে অবশ্যই এসব লুটপাট বন্ধ করার একটি উপায় বের করতে হবে।

এইচ এম হামিদুর রহমান৷

আমার তৃতীয় পয়েন্টটি হচ্ছে ইসলামোফোবিয়া। বিশ্বে ১.৩ বিলিয়ন মুসলমানের বাস। মিলিয়ন মিলিয়ন মুসলমান ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে সংখ্যালঘু হিসেবে বাস করছে। ৯/১১ এর পর হতে ইসলামোফোবিয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি বিপদজনক। এটি বিভাজন সৃষ্টি করছে।

মুসলিম নারীর হিজাব পরিধান করাকে সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে। হিজাবকে দেখা হচ্ছে অস্ত্র হিসেবে। কিছু দেশে নারীর পোশাক খোলার স্বাধীনতা রয়েছে কিন্তু পোশাক পরিধান করার স্বাধীনতা নেই! এটা কেন ঘটছে? ইসলাম ফোবিয়ার কারণে এমনটা ঘটছে। এটা কখন শুরু হয়েছে? ৯/১১ এর পর ইসলাম ফোবিয়া শুরু হয়েছে। কেন? কারণ, কিছু পশ্চিমা নেতা সন্ত্রাসবাদ আর ইসলামকে এক করে দেখেন। যেমন : ইসলামি সন্ত্রাসবাদ, র‌্যাডিকাল ইসলাম (মৌলবাদী ইসলাম)। র‌্যাডিকাল ইসলাম কী? ইসলাম তো কেবল একটাই। আমরা তো কেবল হযরত মুহাম্মদ সা.-এর ইসলামের অনুসরণ করি। এ ছাড়া আর কোন ইসলাম নেই। ইসলামি সন্ত্রাসবাদ ও র‌্যাডিকাল বলে তারা মানু্ষের কাছে কী মেসেজ দিতে চায়? কিভাবে তারা মডারেট মুসলিম আর র‌্যাডিকেল মুসলিম এর মাঝে পার্থক্য করে? সন্ত্রাসের সাথে কোনো ধর্মেরই কোনো সম্পর্ক নেই।

এইচ এম হামিদুর রহমান৷

বিদেশ ভ্রমণ এর সময় আমরা মুসলমানরা ইসলামোফোবিয়ার শিকার হই এবং ইউরোপিয়ান দেশসমূহে মুসলিম কমিউনিটিকে একঘরে করে রাখার প্রবণতা দেখা হচ্ছে। এসব প্রান্তিকতাই জন্ম দিচ্ছে চরমপন্থার।

আমাদের অবশ্যই এই ইস্যুটি স্পষ্ট করতে হবে। ইসলাম র‌্যাডিকাল নয়, তেমনি ইহুদি, খ্রিস্টান ও হিন্দু ধর্মও র‌্যাডিকাল নয়। কোনো ধর্মই র‌্যাডিকালিজম (মৌলবাদ) প্রচার করে না। সকল ধর্মের ভিত্তি হলো পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ন্যায়পরায়ণতা, যা মানুষকে পশুর থেকে আলাদা করে।

এইচ এম হামিদুর রহমান৷

দুঃখজনকভাবে মুসলিম নেতারা র‌্যাডিকালিজম নিয়ে কথা বলতে ভয় পান। কারণ তারা মডারেট হতে চান। মডারেট হওয়ার জন্য অনেকে পশ্চিমা পোশাক পরেন এবং এমনকি ইংরেজিতে দক্ষতা না থাকা সত্ত্বেও মডারেট হওয়ার জন্য ইংরেজিতে কথা বলেন।

সুইসাইড এট্যাককে ইসলামের সাথে একীভূত করে দেখা হয়, অথচ ৯/১১ এর আগে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সুইসাইড এট্যাক করেছিল তামিল টাইগাররা। তারা হিন্দু। এজন্য কেউ হিন্দু ধর্মকে দোষারোপ করে না। হিন্দু ধর্মের সাথে সুইসাইড এটাককে মিলানো হয় না।

আমি পশ্চিমে ক্রিকেট খেলেছি, অনেক সময় ব্যয় করেছি এখানে এবং এখানকার মানুষের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে আমার জানা আছে। তাদের মাঝে ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা প্রচলিত। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ইসলামোফোবিয়া। ১৯৮৯ সালে আমাদের রাসূল (সাঃ) কে অপবাদ দিয়ে, উপহাস করে অবমাননকার বই প্রকাশ করা হয়। এবং তখন মুসলিম বিশ্বে প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। ওয়েস্টার্ন দেশগুলো সমস্যা কোথায় বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিল। তাদের চোখে ইসলাম একটি অসহিষ্ঞু ধর্ম। এবং প্রতি ২-৩ বৎসর পর পর কেউ একজন আমাদের নবীকে (সাঃ) অবমাননা করে, মুসলমানরা প্রতিক্রিয়া দেখায় আর পশ্চিমে মুসলমানরা অসহিষ্ঞু হিসেবে পরিচিত পায়। এজন্য পশ্চিমের গুটিকয়েক লোক দায়ী যাদের আচরণ মুসলমানদের বিক্ষুব্ধ করে। কিন্তু পশ্চিমের অধিকাংশ লোক সেটা বুঝতে পারে না।

এইচ এম হামিদুর রহমান৷

মুসলিম নেতৃবৃন্দের ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন যে, হযরত মুহাম্মদ সা. আমাদের কী বার্তা দিয়েছেন? নবী (সা.) স্বর্গীয় গ্রন্থ পবিত্র কুরআনের সাক্ষ্যদাতা। পবিত্র কুরআন হচ্ছে সেই মহাগ্রন্থ যা মুসলমানদের জীবনের চলার পথনির্দেশনা। কুরআন আমাদের কী নির্দেশনা দিয়েছেন সে বিষয়ে নবী (সাঃ) ছিলেন জীবন্ত উদাহরণ। সুতরাং তিনিই ছিলেন আদর্শ যাঁকে আমরা অনুসরণ করতে পারি। হযরত মুহাম্মদ সা. মদিনায় আদর্শ কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই রাষ্ট্রের প্রকৃতি কেমন ছিল? ইসলামের একটি বিষয় আমাকে খুব আন্দোলিত করে। অভিযোগ করা হয় ইসলাম নারী ও সংখ্যালঘু বিরোধী, কিন্তু ইসলামি রাষ্ট্রের সূচনার প্রথম দিনই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ইসলামি রাষ্ট্র দুর্বল, বিধবা, এতিম, দরিদ্র, প্রতিবন্ধীদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল, দরিদ্রদের জন্য ট্যাক্স সংরক্ষণ করেছিল। রাষ্ট্র ঘোষণা করেচিল সকল আদম সন্তান সমান তাদের গায়ের রং যাই হোক না কেন। মুহাম্মাদ সা. ঘোষণা করেছিলেন দাসদের সাথে পরিবারের সদস্যদের মতো আচরণ করতে। ফলে মুসলিম বিশ্বে এমন কিছু ঘটেছিল, যা অন্যান্য সভ্যতায় ঘটেনি। মুসলিম বিশ্বে দাস রাজ বংশের আবির্ভাব ঘটেছিল। দাসরা রাজা হয়েছিলেন। মামলুক দাসরা মিশর শাসন করেছিল। ভারতে দাসরা শাসন করেছিল।

এইচ এম হামিদুর রহমান৷

সংখ্যালঘুর প্রশ্নে সকল ধর্মের উপসনালয়কে নিরাপত্তা দেয়া ইসলাম পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে দেখে। ইসলাম ঘোষণা করেছে সকল মানুষ সমান। ইসলামের চতূর্থ খলিফা যিনি ছিলেন তখন মদিনা রাষ্ট্রের প্রধান, তিনি একজন ইহুদির বিরুদ্ধে আদালতের রায়ে হেরে গিয়েছিলেন। আইনের উধে্‌র্ব কেউ নয়।

মি. প্রেসিডেন্ট, যদি কোনো মুসলিম কমিউনিটি সংখ্যালঘুর উপর অন্যায় করে তবে সেটা আমাদের ইসলামের শিক্ষার বিপরীত। একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার সবাইকে বুঝতে হবে যে, রাসূল সা. আমাদের হৃদয়ে সমাসীন। যখন তাকে অবমাননা করা হয়, তখন আমাদের হৃদয়ে আঘাত লাগে। আর প্রত্যেক ব্যক্তিই জানেন হৃদয়ের আঘাত খুবই ভয়ানক। তাই যখন রাসূল সা.-কে অবমাননা করা হয় তখন মুসলিমরা প্রতিক্রিয়া দেখায়, কিন্তু পশ্চিমারা এটা বুঝতে পারে না।

আমি টিনএজ বয়সে ইংল্যান্ড থাকতে দেখেছি যীশুখৃস্টকে নিয়ে কমেডি ছবি নির্মাণ করতে। এটা আমাদের মুসলিম সমাজে অকল্পনীয় বিষয়। যে সকল বিষয় অন্য মানুষদের হৃদয়ে আঘাত করে সেসব আমাদের অবশ্যই পরিহার করতে হবে।

এইচ এম হামিদুর রহমান৷

পশ্চিমা সমাজে হলোকাস্টকে একটি স্পর্শকাতর ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করা হয় কারণ এটি ইহুদী কমিউনিটিকে আঘাত করেছে। আমরাও একই শ্রদ্ধাবোধ প্রত্যাশা করি। আপনার বাকস্বাধীনতাকে অপব্যবহার করে আমাদের পবিত্র নবীকে (সাঃ) অবমাননা করে আমাদের আঘাত করবেন না। এটাই আমরা সবাইকে বলতে চাই।

এবার আমার চতূর্থ পয়েন্ট। মি. প্রেসিডেন্ট, এটাই সবচাইতে জটিল বিষয় এবং বিশেষ করে এটার জন্যই আমার এখানে আসা। হ্যাঁ, এটি হচ্ছে কাশ্মীরে যা ঘটছে সে সম্পর্কে।

ক্ষমতায় আসার পর আমার প্রথম অগ্রাধিকার ছিল পাকিস্তান হবে এমন দেশ যে শান্তির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবে।

সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে যোগ দেয়ার মাধ্যমে পাকিস্তান তার সময়ের সবচেয়ে খারাপ সময় অতিবাহিত করেছে। আমাদের ৭০,০০০ লোক যুদ্ধে মারা গিয়েছে, আমাদের অর্থনীতির ক্ষতির পরিমাণ ১৫০ বিলিয়ন ডলার।

১৯৮০‘র দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের স্বাধীনতার পক্ষে পাকিস্তান পশ্চিমাদের সাথে কাজ করে। গেরিলা যোদ্ধা নামে খ্যাত মুজাহিদ বাহিনীকে পশ্চিমারা বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র অর্থায়ন করেছিল এবং প্রশিক্ষণ দিয়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। সোভিয়েত তাদেরকে সন্ত্রাসী বলত, যেখানে আমেরিকানরা তাদের বলতো মুক্তিযোদ্ধা।

১৯৮৯ সালে সোভিয়েত আফগানিস্তান থেকে পলায়ন করে। আমেরিকা আফগানিস্তান ত্যাগ করে আর পাকিস্তানও মুজাহিদ গ্রুপকে ত্যাগ করে।

অতঃপর ৯/১১ আসলো। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তান যক্তরাষ্ট্রের সাথে সংযুক্ত হলো। কিন্তু আমরা এই যুদ্ধের জড়িত হইনি। কেন? কারণ পশ্চিমারা ও আমরা তাদের বিদেশী দখলদারদের বিরুদ্ধে জিহাদে তথা স্বাধীনতা সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু এবার আমেরিকা আফগান দখল করে বসে আর প্রত্যাশা করে, আমরা মুজাহিদদের বলব, তোমারা সন্ত্রাসী, তোমরা স্বাধীনতা সংগ্রামী না। এটা হাস্যকর। তাই পাকিস্তান নিরপেক্ষ থাকতে চেয়েছে, ধ্বংসলীলায় জড়ায়নি।

৭০,০০০ পাকিস্তানী নিহত হলো সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে অথচ ৯/১১ এর সাথে কোনো পাকিস্তানী জড়িত ছিলো না। তালেবান, আল কায়েদা আফগানিস্তানে তৈরি হয়েছে, পাকিস্তানে নয়। কিন্তু ৭০,০০০ পাকিস্তানী নিহত হয়েছে!

আমি জানি যে ভারত বলে আসছে আমাদের জঙ্গি সংগঠন আছে কিন্তু আমি জাতিসংঘ পর্যবেক্ষককে এসে দেখার আমন্ত্রণ জানাই। পাকিস্তানে কোনো জঙ্গি গ্রুপ থাকবে না এটা আমাদের সিদ্ধান্ত।

ভারত প্রসঙ্গে বলি। ভারতের সাথে আমার উষ্ঞ সম্পর্কের কথা বলি। উপমহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেটের সুবাদে ভারতে আমার অনেক ভক্ত অনুরাগী রয়েছে, ভারতে আমার অনেক প্রিয় বন্ধু রয়েছে। আমার ভারত ভ্রমণ করতে সবসময় পছন্দ করি।

এইচ এম হামিদুর রহমান৷
সুতরাং আমার দল ক্ষমতায় আসার পর আমার প্রথম উদ্যোগ ছিল ভারতের সাথে। নরেন্দ্র মোদীকে বললাম, আমাদের সমস্যাগুলি একই। আসুন আমরা একসাথে কাজ করি। দারিদ্র,জলবায়ুর প্ররিবর্তনে একসাথে কাজ করি। বিশ্বস্ততার ভিত্তিতে আমরা সম্পর্কন্নোয়নে কাজ করি। কিন্তু উনি প্রতিউত্তরে বললেন, পাকিস্থান সবসময় আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আমি বলি, আমাদের সমস্যা একই। ঠিক একইভাবে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ভারতীয় গুপ্তচর কলভূষণ যাদভ ধৃত হয়েছেন। সে স্বীকারও করেছে যে, সে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর হয়ে কাজ করছিল। কিন্তু আসুন আমরা সেসব বিরোধপূর্ণ বিষয় পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাই শান্তির জন্যে। আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত জনগণের স্বার্থ। কিন্তু মোদী তা মানল না। সে আমাদের সাথে সকল সংলাপ বাতিল করল।

ভারত নির্যাতিত কাশ্মীরে ২০ বছর বয়ষ্ক এক ছেলে আত্মঘাতি বোমা হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অনেক সদস্য হত্যা করল। মোদী তাৎক্ষণিকভাবে দোষ চাপালেন পাকিস্থানের উপর। আমি বললাম, আপনি একটা প্রমান দেখান যে, পাকিস্থান এটায় জড়িত,তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করব। পুলওয়ামা হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার প্রমাণ দেখানোর পরিবর্তে তারা পাকিস্থানের উপর বিমান হামলা চালালেন। আমরাও বদলা নিলাম এবং আমাদের শক্তি দেখিয়ে দিলাম। আমরা তাদের যুদ্ধ বিমানও ভূপাতিত করেছি এবং তাদের পাইলটকেও জীবিত আটক করেছি, কিন্তু সৌজন্যতা,উদারতার খাতিরে দ্রুত তাকে ভারতে ফেরত পাঠিয়েছি। এটা আমাদের উদারতা,দূর্বলতা নয়। আর মোদী আপনি বিমান হামলা চালিয়ে আমাদের যথেষ্ট ক্ষতি করেছেন। আপনি আমাদের ১০টি গাছ ধ্বংস করেছেন। আমরা আবহাওয়া জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বলছি,কাজ করছি, আপনি সেখানে আমাদের ১০টি গাছ বিনা কারনে বিমান থেকে বোমা বর্ষনে ধ্বংস করেছেন। এটা আমাদের একটা বিরাট ক্ষতি !

মোদি নির্বাচনে প্রচারণা চালিয়েছেন যে, তিনি পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিয়েছেন এবং তিনি বলেছেন, এটি ছিল ট্রেইলার, পূর্ণ মুভি পরে আসছে। আমরা ভাবলাম, এটা নির্বাচনে জেতার জন্য দেয়া বক্তৃতা। নির্বাচনের পর আমরা স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরে যাবো। কিন্তু বিষয়টি তা ছিলো না।
নির্বাচনের পর আমরা বুঝতে পারি অর্থনৈতিকভাবে পাকিস্তানকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য ভারত FATF কালো তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া সংবিধানের ৩৭০ নং আর্টিকেল তারা বাতিল করলো। কাশ্মীরে প্রচুর সেনা সমাবেশ করলো। এখন কাশ্মীরে মোট সেনার পরিমাণ ৯০০,০০০। এর মাধ্যমে ৮ মিলিয়ন লোকের উপর কারফিউ জারি করা হলো।

মি. প্রেসিডেন্ট একজন লোক কিভাবে এটা করতে পারে! এটা বুঝার জন্য আপনাকে জানতে হবে আরএসএস সম্পর্কে। আমি আরএসএস সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে চাই। মি. নরেন্দ্র মোদি আরএসএস এর আজীবন সদস্য। আরএসএস এমন একটি সংগঠন যেটি এডলফ হিটলার এবং মুসোলিনীর হিংস্র আদর্শে অনুপ্রাণিত। নাৎসীরা যে পদ্ধতিতে অন্য সকল জাতি হতে নিজেদের সেরা ভাবতো একই ভাবে আরএসএসও নিজেদের সবার চেয়ে সেরা মনে করে।

এইচ এম হামিদুর রহমান৷

আরএসএস ভারত হতে মুসলমানদের জাতিগত নিধনে বিশ্বাসী। এটা সবাই জানে, আরএসএস হিন্দুত্ববাদের জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাসী। তারা মুসলিম ও খৃস্টানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায়। তারা বিশ্বাস করে মুসলিম শাসনের ফলে হিন্দুত্ববাদের সোনালী যুগের অবসান ঘটেছে। তারা সরাসরি মুসলিম ও খৃস্টানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায়। এটা সবাই জানে। গুগল করে আপনি জানতে পারবেন আরএসএস এর প্রতিষ্ঠাতা গোলকওয়ার। এই ঘৃণার আদর্শ ১৯৪৮ সালে হত্যা করেছে ভারতের অবিসংবাদিত নেতা মহাত্মা গান্ধীকে।

এই ঘৃণার আদর্শ আরএসএস এর গুন্ডাাদেরকে মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে ২০০০ মুসলিমকে জবাই করতে প্রেরণা দিয়েছিল। মোদির নির্দেশে গেরুয়া পাঞ্জাবী পরে ৩ দিন ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিছিল আরএসএস এর সন্ত্রাসীরা। তাদের তান্ডবে ২০০০ মুসলিম নিহত হয় এবং গৃহহীন হয় ১৫০,০০০ মুসলিম। কংগ্রেস পার্টি বিবৃতি দিয়েছিল আরএসএস এর ক্যাম্পসমূহে সন্ত্রাসীরা রয়েছে। মোদী তখন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে আমেরিকা ভ্রমণ করতে পারেন নি।

৮ মিলিয়ন লোককে বন্দী করে রাখছে! এটা কেমন মানসিকাতা! সেখানো নারী শিশু অসুস্থ মানুষ রয়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব কী ভাবছে? ৮ মিলিয়ন পশু বন্দী? তারা মানব সন্তান।

জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের উগ্র চিন্তাধারা নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপিকে অন্ধ করে দিয়েছে। যখন কারফিউ উঠে যাবে তখন কী ঘটবে তারা চিন্তা করছে?

গত তিরিশ বছরে কাশ্মীরে ১০০,০০০ নাগরিক নিহত হয়েছে, ১১০০০ নারী ধর্ষিতা হয়েছে। এটা জাতিসংঘের রিপোর্ট। কিন্তু বিশ্ববাসী কিছু করছে না। কারণ তারা দেখছে ভারত তাদের জন্য ১.২ বিলিয়ন জনসংখ্যার বিশাল বাজার। বস্তুগত স্বার্থের কাছে বলি হচ্ছে মানবতা।

মোদি বলছে এটা কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য। কিন্তু যখন ৮ মিলিয়ন কাশ্মীরি বন্দীত্ব ভেঙ্গে ৯০০,০০০ সেন্যের মোকাবিলা করবে তখন কী ঘটবে? আমি আশঙ্কা করছি রক্তগঙ্গা বইবে।

এইচ এম হামিদুর রহমান৷

কাশ্মীরিদেরকে খাচাবন্দী পশুর মতো বাড়িতে বন্দী করে রাখা হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদেরকে এমনকি প্রো‌-ইন্ডিয়ানদের‌ও গ্রেফতার করা হয়। ১৩০০০ যুবককে ধরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। যুবকদের ছড়রা গুলি দিয়ে অন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এতে আরো চরমপন্থা বাড়বে।
আমরা আশঙ্কা করছি আরো একটি পুল‌ওয়ামা ঘটনার। এবং যথারীতি ইন্ডিয়া দায়ী করবে পাকিস্তানকে।
ইন্ডিয়ান বিদেশ মন্ত্রী বলেছেন, সীমান্তে ৫০০ সন্ত্রাসী অপেক্ষা করছে। ৯০০,০০০ সৈন্যের বিরুদ্ধে ৫০০ সন্ত্রাসী কী করবে!
ইসলামিক টেররিজম টার্ম ব্যবহার করে ভারত মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এবং কাশ্মীরীদের উপর নির্যাতন বৃদ্ধি করে।

কেন তারা শান্তি প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করছে? কারণ ভারতের হাতে বিকল্প নেই। কাশ্মীরে তাদের নিষ্ঠুরতার প্রতিক্রিয়ায় আরেকটি পুলাওয়ামার মতো ঘটনা ঘটবে এবং তারা আমাদের দায়ী করে আবার পাকিস্তানে বোমা মারার চেষ্টা করবে।

আপনারা কি মনে করেন না যে, কাশ্মীরে ৮ মিলিয়ন লোকের দুর্দশা ভারতের ১৮০ মিলিয়ন মুসলমানকেও চরমপন্থার দিকে ঠেলে দিতে পারে?

ইহূদী কমিউনিটির প্রতিক্রিয়া কী হবে যখন মাত্র ৮০০০ ইহুদিকে বন্দী করা হবে? ইউরোপীয়ানরা কী প্রতিক্রিয়া জানাবে? যেকোনো মানব সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া কী হবে?

সময় এখন খুবই জটিল। কিছু ঘটলে পাকিস্তানকে দায়ী করা হবে। ইতোমধ্যে পরমাণু শক্তিধর দেশ দুটি ফেব্রুয়ারি তে মুখোমুখি হয়েছিল। এজন্য জাতিসংঘের দায়িত্ব রয়েছে। ১৯৪৫ সালে এজন্যই প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিসংঘ।

যদি আমরা পেছনে তাকাই, ১৯৩৯ সালে যখন মিউনিখ দখল করেছিল চেকোশ্লাভাকিয়া। বিশ্ব সম্প্রদায় ১.২ বিলিয়ন লোকের সমস্যা প্রশমনের জন্য কিছু করেছে? ন্যায়বিচার ও মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়েছে? পারমাণবিক শক্তিধর দুটি দেশ প্রচলিত যুদ্ধে মুখোমুখি হলে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে। এর পরিণতি হবে মারাত্মক।

একটি দেশ যে তার প্রতিবেশীর চেয়ে আয়তনে ৭গুণ ছোট, এমন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হলো যে, সে আত্মসমর্পণ করবে নাকি শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করবে? আমি নিজেকে এই প্রশ্ন করি। আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবো।

এইচ এম হামিদুর রহমান৷

আমি পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছি না। এটি একটি আশঙ্কা। এটি জাতিসংঘের জন্য একটি পরীক্ষা। জাতিসংঘ‌ই কাশ্মীরের জনগণের নিজেদের পছন্দ বেছে নেয়ার অধিকারের গ্যারান্টি দিয়েছিল। ১৯৩৯ সালের মতো এটা কি সঠিক সময় নয়?

এটাই সময়, পদক্ষেপ নেয়ার এটাই সঠিক সময়। এবং প্রথম একশন হবে ইন্ডিয়াকে অবশ্যই কাশ্মীরে হিউম্যান কারফিউ তুলে নিতে বাধ্য করা হবে যেটি গত ৫৫ দিন ধরে চলমান। ১৩,০০০ কাশ্মীরী বালককে মুক্ত করতে হবে।
কাশ্মীরের জনগণের আত্ম অধিকার প্রতিষ্ঠা করার এটাই উপযুক্ত সময় জাতিসংঘের জন্য। ধন্যবাদ।

 অনুবাদঃ এইচ এম হামিদুর রহমান৷

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

আজকের ইত্তেফাকুল ওয়ায়েজিনের এক জান্নাতি....

আলহামদুলিল্লাহ
আজকের ইত্তেফাকুল ওয়ায়েজিনের
এক জান্নাতি পরিবেশের কর্মশালা শেষ হলো....

-আব্দুল আউয়াল শেরপুরী-


বাংলাদেশের আহলে হক ওলামায়েকেরামের
এত উপস্থীতি আমার জিবনের প্রথম দেখা.শুকরিয়া...

তবে বৃহত লক্ষ ও উদ্দেশ্য কে সামনে রেখে
সংগঠনের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেওয়া হয়েছে
রাবেতাতুল ওয়ায়েজিন বাংলাদেশ

আজকের এ কর্মশালায়
উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করতেছি....

কারন এক সাথে এত আল্লাহ ওলাদের সোহবত পাওয়া
এক সাথে দ্বীনের দায়ীদের দেখে এবং ওয়ায়েজ দের করনীয় শীর্ষক আলোচনা থেকে সরসংসক্ষেপ নোট করতে পেরেছি.....
এটা আমার জিবনে পাথেয় হিসেবে কাজ করবে আমি মনে করি....

আজকের কিছু ঘোষনা.....

ইত্তেফাকুল ওয়ায়েজীন বাংলাদেশের
আজ থেকে নতুন নাম মুরব্বীদের দিকনির্দেষনায়
রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন বাংলাদেশ

কমিটিতে আংশিক পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন নাম সমুহ.......

সভাপতি, আল্লামা আব্দুল বাসেত খান, সিরাজগঞ্জ।

সিনিয়র সহসভাপতি, মাওলানা লোকমান সাদী,হবিগঞ্জ।

সহসভাপতি,  মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, কুমিল্লা।
সহসভাপতি, মাওলানা ইসমাইল হোসেন সিরাজী,হবিগঞ্জ।

মহাসচিব, আল্লামা হাসান জামিল দাঃবাঃ
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহ হামিদী,বি,বাড়ীয়া৷

যুগ্ম মহাসচিব, মাওলানা ইউসুফ বিন এনাম শিবপুরী,নরসিংদী।।

আল্লাহ পাক আমাদের আকাবীরীন হজরতের অসিলায় সারাবাংলাদেশের আলেমদের এক প্লাটফর্মে এসে দ্বীনের খেদমত করার তৌফিক দান করুন আমিন।

 লিখেছেনঃ আব্দুল আউয়াল শেরপুরী

বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ট্রাম্পের সভায় এদিক-ওদিক তাকিয়ে ব্যাগে খাবার ভরলেন ভারতীয় নারী (ভিডিও)৷

ট্রাম্পের সভায় এদিক-ওদিক তাকিয়ে ব্যাগে খাবার ভরলেন ভারতীয় নারী (ভিডিও)৷


যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে রোববার চলছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সভা। এই সভার দিন হিউস্টনেরই একটি হোটেলে ঘটে এক লজ্জাজনক ঘটনা। এক ভারতীয় নারী তার ব্যাগে খাবার লুকাচ্ছিলেন, এর ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।

১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, হোটেলের একটি টেবিলে খাচ্ছেন একজন পুরুষ ও একজন নারী। আশপাশের সবাই যখন খাবার খেতে ব্যস্ত, তখন আচমকাই ‘সক্রিয়’ হয়ে উঠেছেন ওই নারী। প্লেট থেকে ধোকলা তুলে নিয়ে নিজের ব্যাগে ঢোকান। এ সময় অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন তিনি। আশপাশের কেউ তার ওপর নজর রাখছে কি না তাও বারবার লক্ষ্য করেন তিনি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্যামেরায় ধরা পড়ে যান।

বিদেশে বেড়াতে গিয়ে ভারতীয়দের এমন লজ্জাজনক ঘটনা ঘটানোর উদাহরণ বহু আছে। গত জুলাই মাসেই ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে এমন কাণ্ড ঘটান এক ভারতীয় দম্পতি। হোটেলের ঘর থেকে শ্যাম্পু, সাবান, তোয়ালে, হেয়ার ড্রায়ার এমনকি পেন্টিং পর্যন্ত সুটকেসে ভরে রওনা দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু, হোটেল থেকে বের হওয়ার মুখে কর্মীরা তাদের ব্যাগ পরীক্ষা করেন। সেই সময় ধরা পড়ে যান ওই দম্পতি।

মনোবিদরা বলছেন, কোথাও বেড়াতে গিয়ে নানা জিনিস চুরির বাতিক আসলে মানসিক রোগ। ক্লিপটোম্যানিয়া নামে ওই রোগে আক্রান্তরাই এমন কাণ্ড ঘটান।

সূত্র : আনন্দবাজার ও ইনকিলাব ডেস্ক৷

বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

শুভ উদ্ভোধন হতে যাচ্ছে বাইশারীর তিতারপাড়াতে আধুনিক

আলহামদুলিল্লাহ্, শুভ উদ্ভোধন হতে যাচ্ছে বাইশারীর তিতারপাড়াতে আধুনিক আঙ্গিকে হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানাহ্৷
ছবিঃ নুতন নির্ধারিত স্থান

দ্বীনি প্রতিষ্ঠান শুভ উদ্ভোধন উপলক্ষে পরামর্শ সভায় উপস্থিত ছিলেন, মোঃ শফি, আলহাজ মোঃ আব্দু শাকুর, মোঃ দুদু মিয়া সাবেক ইউপি সদস্য বাইশারী, মোঃ আব্দুল মালেক, মৌঃ দিল মোহাম্মাদ সাহেব প্রমুখ৷

প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাইশারী ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ক্যেয়ারটেকার ও বাইশারী শাহ্ নুরুদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মৌলানা আব্দুল্লাহ্ দাঃ বাঃ৷

সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় ছিলেনঃ  বাইশারী ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ক্যেয়ারটেকার মৌলানা মোহাম্মাদ আলম মোজাহেরী দাঃ বাঃ ৷

এবং উক্ত পরামর্শ সভায়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর দশজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদেরকে পুরস্কার প্রদান করা হয়৷

প্রশংসা শোনার একটা মজা আছে

প্রশংসা শোনার একটা মজা আছে। নফস বারবার এর মজা নিতে আগ্রহী হয়ে উঠে
হাবিবুল্লাহ্ মিসবাহ রহিঃ 

কৃষক সিদ্ধান্ত নিল ঘোড়াটা বিক্রি করে দিবে। কোনো কাজে আসে না। সারাদিন বসে থাকে। কে জানে হয়তো মরেও যেতে পারে। এর চেয়ে এটাকে বিক্রি করে দেয়াই ভালো। কৃষক ঘোড়া নিয়ে গেল বাজারে। বিক্রি করার জন্য একজন দালাল ঠিক করলো। দালাল বাজারের মাঝখানে এসে ঘোষণা দিলো, একটা ঘোড়া আছে। খুব স্বাস্থবান। দিনে একবেলা খেতে দিলেই হয়, সারাদিন একটানা কাজ করে যেতে পারে। এর পিঠে যত ওজনের জিনিসই চাপানো হোক, আপত্তি করে না। এর গতি তুফানের মত।

কৃষক কিছুক্ষণ মন দিয়ে দালালের কথা শুনলো। এরপর বললো, ভাই থামো। এত ভালো ঘোড়া আমি বিক্রি করবো না।

-

গল্পটা রুপক। তবে আমাদের জীবনের সাথে মিলালে দেখি, গল্পের কৃষকের সাথে আমাদের খুব একটা তফাত নেই। সুধারণা থেকে মানুষ আমাদের নানারকম প্রশংসা করে। আমরা নিজের প্রকৃত অবস্থান ভুলে গিয়ে সেই প্রশংসায় মজে যাই। ভাবি সত্যি সত্যিই আমরা এমন।

আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক রহিমাহুল্লাহ বলতেন, হে ইবনুল মুবারক, তুমি তো নিজের অবস্থা সম্পর্কে জানো। এবার মানুষ তোমার সম্পর্কে যত প্রশংসাই করুক, তাতে তোমার ক্ষতি হবে না (অর্থাৎ, তুমি অহংকারী হয়ে উঠবে না)।

-

প্রশংসা শোনার একটা মজা আছে। নফস বারবার এর মজা নিতে আগ্রহী হয়ে উঠে। ধীরে ধীরে ভেতরে মানুষের প্রশংসা শোনার তীব্র আকাঙ্ক্ষা জেগে উঠে। এক পর্যায়ে প্রশংসা না শুনলে কষ্ট লাগে। আমলের ইখলাস চলে যায়, তার স্থান দখল করে রিয়া। তখন বান্দার বেশিরভাগ কাজই হয়ে উঠে অন্যকে দেখানোর জন্য।

সুফীরা বলতেন, মানুষ তোমার প্রশংসা করছে এই মানে এই নয় যে তুমি সত্যই এই প্রশংসার যোগ্য। তারা মূলত আল্লাহর সাত্তার গুনের প্রশংসা করছে, যে গুন দ্বারা আল্লাহ তোমার দোষত্রুটি ঢেকে রেখেছেন।

শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া বলেন, কোনো অন্তরে ইখলাস ও প্রশংসা শোনার আকাঙ্ক্ষা একত্রিত হতে পারে না।

ইমাম গাযালি বলেন, যে কারো অতিরিক্ত প্রশংসা করে সে কয়েকটি বিপদ টেনে আনে। প্রথমত, সে অতিরিক্ত প্রশংসা করতে গিয়ে মিথ্যা বলে। দ্বিতীয়ত, সে রিয়ার শিকার হয়। সে দেখাতে চায় প্রশংসিত ব্যক্তির প্রতি তার অনেক ভালোবাসা, কিন্তু হয়তো বাস্তবতা ভিন্ন। তৃতীয়ত, সে অন্যকে খুশী করার জন্য প্রশংসা করে। এবার সেই ব্যক্তি জালিম বা ফাসিক যাই হোক না কেন। অপরদিকে যার প্রশংসা করা হয় সেও দুটি সমস্যায় পড়ে যায়। এক, সে রিয়ায় আক্রান্ত হয়। দুই, সে নিজের অবস্থার উপরে সন্তুষ্ট হয়ে যায়। পরে তার আমলে উন্নতি হয় না।

-

মাত্রাতিরিক্ত প্রশংসা মূলত প্রশংসিত ব্যক্তির বিপদ টেনে আনে।

একদিন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে কারো ব্যাপারে অতিরিক্ত প্রশংসা করতে শুনলেন। তিনি তখন বললেন, তুমি তো তাকে ধ্বংস করে দিয়েছো। তার মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছ। (মুসলিম, ৭৩৯৪)

-

অনলাইনের জগত প্রশংসা করা ও শোনার এক সহজ মাধ্যম। যারা অন্যের প্রশংসা করছি, যারা নিজের প্রশংসা শুনছি, আল্লাহ আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকার তাওফিক দিন। আমাদের মধ্যে পরিমিতিবোধ তৈরী করে দিন। জীবনের সকল কর্মে পরিমিতিবোধ এর পরিচয় দেয়ার তাওফিক দিন। 

শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৯

১৮ বছরের নিচে বিয়ে থামান, কিন্তু ১২ বছরের মেয়েকে পতিতাবৃত্তির লাইসেন্স.....

১৮ বছরের নিচে বিয়ে থামান, কিন্তু ১২ বছরের মেয়েকে পতিতাবৃত্তির লাইসেন্স দেন কেন ?
ছবিঃ সংগৃহিত৷

বাল্যবিয়ে নাকি বাংলাদেশের আইনত নিষিদ্ধ। একজন নারী-পুরুষ পরস্পর সম্মতিতে বৈধ উপায়ে বিয়ে করবে, এটা মানতে পারেন না বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু এই সরকার-ই কিন্তু ১৮ বছরের নিচে বহু নারীকে পতিতাবৃত্তির লাইসেন্স দেয়।

বাংলাদেশের সংবিধানে বড় করে লেখা আছে- "গণিকাবৃত্তি নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।" (অনুচ্ছেদ ১৮ (২))

কিন্তু তারপরও সরকার অনুমোদিত বাংলাদেশে ১৪ থেকে ১৮টি গনিকা বা পতিতালয় আছে। এগুলোর মধ্যে টাঙ্গাইল শহরের বেবীস্ট্যান্ড কান্দাপাড়া যৌন পল্লী, রাজবাড়ি জেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লী, খুলনার সুন্দরবন সংলগ্ন বানীশান্তা পতিতা পল্লী, যশোরের বাবু বাজার পতিতা পল্লী, মাড়োয়ারী মন্দির পতিতাপল্লী, ঝালাইপট্রি পতিতাপল্লী, ফরিদপুর শহরের রথখোলা যৌনপল্লী, ময়মনসিংহ গাঙ্গিনাপাড় যৌনপল্লী, জামালপুরের রাণীগঞ্জ পতিতাপল্লী উল্লেখযোগ্য। এসব যৌনপল্লীতে সরকার অনুমোদিত লাইসেন্সধারী পতিতা রয়েছে।

মজার বিষয় হচ্ছে, এই সব লাইসেন্সধারী পতিতাদের একটি বড় অংশ হচ্ছে ১৮ বছরের নিচে। এরা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের থেকে লাইসেন্স নিয়ে কাজ করছে।

The Global March Against Child Labour - এর হিসেব মতে বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে পতিতার সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। ২০০৫ সালে মার্কিন সরকারের মানবাধিকার রিপোর্ট অনুসারে অবশ্য ১৮ এর নিচে পতিতার সংখ্যা ছিলো ২৯ হাজারের বেশি। এসব শিশু পতিতারা শরীরবৃদ্ধির জন্য গরু মোটতাজাকরণ ট্যাবলেট খায় এবং দৈনিক ১৫-২০ জন পুরুষের সাথে মিলিত হয়।

গত ২০১৬ সালের ৩১শে অক্টোবর ব্রিটেনের ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকা বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার কান্দাপাড়া পতিতাপল্লী নিয়ে একটি রিপোর্ট করে। রিপোর্টে সাংবাদিক জানায়, এ পতিতাপল্লীতে একটি নারী প্রবেশ করে ১২-১৪ বছর বয়সে।

গত বছর বিদেশী কয়েকটি মিডিয়ায় বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার কান্দাপাড়া পতিতাপল্লী পতিতাদের ছবিসহ নাম প্রকাশ পায়। সেখানে ১৪ বছর বয়সের আসমা, ১৭ বছর বয়সের কাজল, ১৫ বছর বয়স্ক পাখি, ১৭ বছর বয়সের সুমাইয়াকে দেখা যায় খদ্দেরকে আলিঙ্গনরত অবস্থায়।

একটু চিন্তা করে দেখুন, কেউ ফোন করে বলবো ১৮ বছর বয়সের নিচে কোন নারীর বিয়ে হচ্ছে, এটা শুনে ইউএনও, ম্যাজিস্ট্রেট দৌড় দিয়ে যায় বিয়ে ভাঙ্গতে। টাঙ্গাইলের ইউএনও ইসরাত সাদমীন দৌড়ে যান মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে দিতে। এরপর ঐ মেয়ের সাথে পোজ দিয়ে ছবিতুলে সেই ছবি দেশজুড়ে ছড়িয়ে কৃতিত্ব জাহির করেন।

কিন্তু বিদেশী মিডিয়ায় যখন সেই টাঙ্গাইল জেলার ১৪ বছর বয়সের আসমা, ১৭ বছর বয়সের কাজল, ১৫ বছর বয়স্ক পাখি, ১৭ বছর বয়সের সুমাইয়া নামক পতিতাদের দেখা যায় খদ্দেরকে আলিঙ্গনরত অবস্থায়। তখন কেন ইসরাত সাদমীন দৌড়ে যান না। কেন তাদের পতিতালয় থেকে উদ্ধার করেন না। বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে প্রায় আইন প্রয়োগ করা হয়।

কিন্তু শিশু পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে আইন আছে। বিধির ৩৭২, ৩৭৩, ৩৬৪.ক ও ৩৬৬.ক ধারায় বেশ্যাবৃত্তির জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্রয় ও বিক্রয়ের শাস্তির বিধান বর্ণিত হইয়াছে। এসব আইন অনুসারে দণ্ডিত ব্যক্তির ১০-১৪ বছরের জেল হতে পারে। এই আইন গুলো কেন ইসরাত সাদমীন প্রয়োগ করেন না ???

ইসরাত সাদমীনদের বলতে চাই, বৈধ বিয়ে হলে কেন আপনাদের এত কষ্ট, কেন এত আইন ?

আপনাদের আ্ইনগুলো কেন পতিতাপল্লীর শিশু পতিতাদের জন্য বন্ধ থাকে ? কেন সেগুলো প্রয়োগ করেন না ?

উদ্দেশ্য পরিষ্কার, সমাজে ব্যভিচার ছড়িয়ে দাও ...
ব্যভিচারের পন্যের ব্যবসা হবে ভাল ...
মানুষ হবে ঈমান ছাড়া ...

(সংগৃহীত ও পরিবর্তিত)

শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৯

জনতার কষ্টের কথা শুনার পরপরই ছুটে আসেন জনগণের নেতা আলম ভাই৷

অবৈধ বালু চালান আপডেটঃ
ছবিঃ জনতার সাথে আলাপরত 
চ্যেয়ারম্যানঃ 

জনতার কষ্টের কথা শুনার পরপরই ছুটে আসেন জনগণের নেতা আলম ভাই৷

পরবর্তী সময় এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গদের নিয়ে আলোচনা করেন, বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ এর সম্মানিত সফল চ্যেয়ারম্যান এম ডি আলম কোম্পানী৷

তিনি বলেন যথা সম্ভব এই রাস্তাটি আমি সংস্কার করে উন্যয়নের আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাব ইনশাআল্লহ্৷

উপস্থিত এলাকার জনগণ চ্যেয়ারম্যানের কথায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন৷
চ্যেয়ারম্যানের পাশে জনতা৷

পাশাপাশি আগামী কাল থেকেই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দক্ষিন বাইশারীর প্রবীণ মুরব্বী জয়নাল আবদিন প্রকাশ জয়নাল মিস্ত্রীকে দায়িত্ব অর্পন করে বলেন, অত্র রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ৫ জন মানুষ নিয়োগ দেন, যত অর্থ ব্যায় হবে তা আমিই বহন করব৷

দক্ষিন বাইশারী বাসীর পক্ষ থেকে আবারো মোবারকবাদ বান্দরবান জেলার স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত চ্যেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানীকে৷

সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৯

অভিধান খুজে জিকিরের অর্থ পেলাম...

পবিত্র কা'বা শরিফ
অভিধান খুজে জিকিরের যে অর্থ পাওয়া যায় তা হলো স্বরণ করা, ইসলামী পরিভাষায় জিকির বলে আল্লাহকে স্বরণ করা, প্রতিটি কাজে প্রতিক্ষনে আল্লাহকে স্বরণ করে ন্যায়কাজ করা ও অন্যায়কাজ করা থেকে বিরত থাকাটাও জিকিরের অন্তর্ভুক্ত, তেমনি কোরআন পাঠ মাঝেমধ্যে আল্লাহকে ডাকা কালিমা পাঠ এসবি আল্লাহর স্বরণে হলে তাও জিকির, যারা টাকার বিনিময়ে সবিনা পড়ে ও টাকার উদ্যেশ্যে খতম তারাবীহ পড়ায় তাদেরটা নিশ্চয়ই জিকির নয়, লোক দেখানোর উদ্যেশ্যে যারা মসজিদ ফাটায় কিবা শুধু পীরের সামনে আসলেই কেবল বাশ বেয়ে উঠে যায় মন্দারগাছে উঠেনা ওদেরটাকে কি বলা উচিত আপনারাই ভালো জানেন।

মরহুম চরমোনাই পীর সাহেব বলেছিলেন "যারা জোরে জিকির করেনা তারা দেখবেন আস্তেও জিকির করেনা" হুজুর বলেছেন আমার মনেহয় শব্দহীর আল্লাহর স্বরনকে উনি জিকিরই ভাবতেননা এই জন্য, আরে ভাই মনেমনে কারা আল্লাহকে স্বরন করছে তা আপনি দেখবেন কি করে? পীরসাহেব কিন্তু বুদ্ধিকরে সেটাই বলেছেন।

অনেকে হাকডাক করে চিল্লিয়ে অদ্ভুত শব্দে বিভিন্ন ভংগিতে নেচে গেয়ে একাকার করে ফেলে, এদের মধ্যে কেউ হক্বের পতাকাবাহী, কেউবা আবার সত্যের বিপক্ষে কাফিরদের অস্র হয়ে কাজ করছে, হক্বের ঝান্ডাধারীদের উল্টা কাজের বৈধতা দিতে গিয়ে পুরোদস্তুর শয়তানি চেলাদের মোক্বাবেলা দুসঃসাধ্য হয়ে উঠেছে।

খালি চোখে বলিষ্ঠ শরির বড় পাগড়ি আর দুনীয়া বিরাগী সন্যাসী দেখে মানুষ উঠে দাঁড়ায় সালাম করে দোয়া নেয় ইসলামিক বিষয়ে জানতে চায়, মুখোশের আড়ালে সে কে এটা জানার ফুরসত কোথায় আম জনতার? সর্বপরি এখন যেভাবে সবাই নিজস্ব আক্বিদা বিশ্বাসের প্রচার করে যাচ্ছে এতে দিধাবিভক্ত হয়ে উম্মাহ শতধাবিভক্ত হচ্ছে, কোরআনের বিপরিতে দূর্বল হাদিসকে পর্যন্ত দলিল হিসেবে উপস্থাপন করছে, এমনকি তাও না পেলে চাপা দিয়েই কোরআন দমনের চেস্টা করছে, এমতাবস্থায় কোরআন ও হাদিসই হতে পারে একমাত্র উম্মাহর মুক্তির পথ ও পাথেয়।

মন্দিরে প্রবেশে বাধা ইসলামগ্রহণ

মন্দিরে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ইসলামগ্রহণ
কলকাতা সংবাদদাতা৷ আলহামদুলিল্লাহ্৷

আলহামদুলিল্লাহ্৷
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি গ্রামে মন্দিরে উৎসব চলছিল। ওই মন্দিরে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। আর ওই ক্ষোভে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরইমধ্যে ওই প্রদেশের কারুর জেলার ছয়টি পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে বলে খবর। পাশাপাশি আরো ৫০টি পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে বলে জানা যায়।

ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ, তামিলনাড়ু রাজ্যের ভেদারনইয়াম ও কারুরগ্রামের দলিত সম্প্রদায়ের মানুষজনকে মন্দিরে প্রবেশ করতে না দেওয়া এবং তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। দলিত সম্প্রদায়ের মানুষজন জানায়, ভেদারনইয়ামে মহাশক্তি আমমান মন্দিরে একটি উৎসবের সময়ে তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। আর এ কারণেই তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এই বিষয়ে তামিলনাড়ুর তাওহিদ জামাতের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রহমান জানিয়েছেন, এরই মধ্যে কারুর গ্রামের ছয়টি দলিত পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। বাকি ৫০ টির মতো পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ওদের সব রকম মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। তাদের মানবাধিকার ও সামাজিক সম্মান ক্ষুণ্ণ হতে দেওয়া হবে না বলেও আমরা ওদেরকে জানিয়েছি।’
এদিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর দলিত জনগোষ্ঠীর এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘ভেদারনইয়ামে মহাশক্তি  মন্দিরটি আমাদের পূর্বপুরুষের সাহায্যে তৈরি করা হয়। অথচ এখন এই মন্দিরের কোনো  অনুষ্ঠানেই আর আমাদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয় না। এই ব্যাপারে কেউ আমাদের সাহায্য করতে এগিয়েও আসেনি। ফলে আমরা বাধ্য হয়েই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেই। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কেউ আমাদের জোর করেনি। আমরা স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
জানা যায়, ওই মন্দিরটি বেশ কয়েক বছর আগে দলিত সম্প্রদায়ের জমিতেই নির্মিত হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে মন্দিরটিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।

সূত্রঃ এনটিভি৷

রাঙামাটিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে সেনা সদস্য নিহত৷

রাঙামাটিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে সেনা সদস্য নিহত৷

রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর একটি নিয়মিত টহল দলের ওপর সন্ত্রাসীদের অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণে মো. নাসিম (১৯) নামে এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। আজ রবিবার সকাল ১০টার দিকে রাজস্থলী আর্মি ক্যাম্পের দক্ষিণে পোয়াইতুমুখ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার সকালে রাজস্থলী আর্মি ক্যাম্পের দক্ষিণে পোয়াইতুমুখ এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি নিয়মিত টহল দলের ওপর সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ করে। এতে নাসিম নামে এক সেনাসদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। আহত সেনাসদস্যকে তাৎক্ষণিক হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আইএসপিআরের পরিচালক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ বলেন, বর্তমানে ওই এলাকায় টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।  

রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৯

রাজপথে কাশ্মীরিরা

রাজপথে কাশ্মীরিরা : ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত ১, ফের নিষেধাজ্ঞা জরি৷
রাজপথে অসহায়রা

কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের সঙ্গে সারারাত ভারতীয় বাহিনীর সংঘর্ষে ১জন নিহত ও ২৪জন আহত হয়েছে।

এরপর রোববার সকালে শ্রীনগরের অনেক এলাকায় আবারও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত সরকার।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শনিবারই শ্রীনগরে কারফিউ শিথিল করে যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরুর ঘোষণা দেয় ভারত সরকার। এর পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ হয়েছে শ্রীনগরের পুরাতন শহরের রাইনাওয়ারি, নওহেত্তা এবং গোজওয়ারা এলাকায়।

পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর প্যালেট, টিয়ারগ্যাস এবং মরিচের গুড়ার গ্রেনেড ছুড়ে। মরিচের গুড়ার গ্রেডে সম্প্রতি কাশ্মীরে ব্যবহার শুরু হয়েছে। এই গ্রেনেড চোখ ও চামড়ায় তীব্র অস্বস্তি তৈরী করে।

শ্রীনগরের প্রধান হামপাতালের চিকিৎসকরা জানান, যারা ভর্তি হয়েছেন তাদের ১৭ জন প্যালেট দ্বারা আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

নিষেধাজ্ঞা শিথিল, জম্মু-কাশ্মীরে

নিষেধাজ্ঞা শিথিল, জম্মু-কাশ্মীরে ৫০০০০ টেলিফোনে ফিরল সংযোগ

অবশেষে কিছুটা স্বস্তি ফিরল জম্মু-কাশ্মীরে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে কাশ্মীর উপত্যকার ৩৫ থানা এলাকায় নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হল। একথা জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের যোজনা কমিশনের প্রধানসচিব রোহিত কনসল।

তিনি আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অঞ্চল থেকে গণ্ডগোলের খবর মেলেনি। এদিন সকালেই দিনভরের জন্য কিশত্‌ওয়ার থেকে ১৪৪ ধারা ওঠানো হয়। এছাড়াও শনিবার সকাল থেকেই কাশ্মীর উপত্যকার শতাধিক টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মধ্যে ১৭টি এক্সচেঞ্জ খুলে দেওয়া হয়েছে। ৫০০০০ ল্যান্ডলাইনের সংযোগও চালু হয়ে গেছে।

জম্মুতে ইতিমধ্যেই টেলিফোনের ল্যান্ডলাইন এবং মোবাইল ফোনের লাইন চালু হয়ে গেছে। শনিবার থেকে জম্মুর পাঁচটি জেলায় ২জি ইন্টারনেটও চালু করে দেওয়া হয়েছে। কনসলের আশা, পরিস্থিতি এরকম স্বাভাবিক থাকলে আজ রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে আরও টেলিফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ চালু হয়ে যাবে।
ইন্টারনেটের লাইন ৩জি এবং ৪জি সংযোগও উপত্যকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চালু করা হবে বলে মনে করছে প্রশাসন। জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যসচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম বলেছেন, জঙ্গি হামলার কথা মাথায় রেখেই দফায় দফায় যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থার উপর ক্রমাগত নজর রাখা হচ্ছে।

সূত্রঃ আল-জাজিরা বাংলা৷

আপনার স্ত্রী কি আপনার অবাধ্য হচ্ছে?

আপনার স্ত্রী কি আপনার অবাধ্য হচ্ছে?
সূত্রঃ মুফতি মাহমুদ উল্লাহ্ আতিকি দাঃ বাঃ

আপনার স্বামী আপনার দিকে নজর দিচ্ছে না,আগের মত ভালোবাসছে না?আপনার সন্তান কি আপনাকে অমান্য করছে? ভাই-বোনেরা কি আপনার অবাধ্য হচ্ছে?
 মাঝে মাঝে আমরা অবাক হই, সবার সাথে আমি এত ভালো বিহেইভ করি, সবাইকে এতো কেয়ার করি- তারপরে ও সবাই আমার প্রতি নাখোশ কেন? সবাই আমাকে অমান্য করছে কেন?

প্রকৃতপক্ষে এসবের পেছনে মূল একটাই  কারণ তা হচ্ছে- আপনি কোন না কোন ভাবে আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত আছেন। কোন কারনে আল্লাহ্ আপনার উপর হয়তো অসন্তুষ্ট!
আল্লাহর সাথে হয়তো আপনার সম্পর্ক দুর্বল, নড়বড়ে। খোদ আল্লাহর সাথেই যদি আমাদের সম্পর্ক দুবর্ল,নড়বড়ে হয় আর আমরাই যদি আল্লাহর অবাধ্যতা করি,তাহলে কিভাবে আল্লাহর সৃষ্টির আমাদের অনুগত হবে?কিভাবে তাদের সাথে আমাদের  সম্পর্ক ভালো হবে?

যে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করবে আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির সাথে তার সম্পর্ক মজবুত করে দিবেন।

ফুযাইল ইবনে আয়ায(রহ) বলেন-

"'যখনই আমি কোন ব্যাপারে আল্লাহর অবাধ্য হতাম,আমি তার প্রভাব আমার অনুগত এবং নির্ভরশীল ব্যক্তিদের মধ্যে দেখতে পেতাম। তিনি বলেন, যখন আমি কোন ব্যাপারে আল্লাহর দেওয়া বাউন্ডারি অতিক্রম করতাম, আমি দেখতাম হয় আমার স্ত্রী আমার অবাধ্য হচ্ছে, না হয় আমার সন্তানেরা আমায় অমান্য করছে কিংবা আমার দাস-দাসীরা আমার সাথে বিরূপ আচরণ করছে। এমনকি কমপক্ষে আমার পোষা জন্তুগুলোও আমার অবাধ্য হয়ে যেত!''

সুবহানআল্লাহ!

 প্রিয় ভাই বোন! যখনই আপনার লাইফে ব্যতিক্রম কিছু দেখতে পাবেন  নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন করে দেখুন আপনি নিজেই কোন ব্যাপারে আল্লাহর অবাধ্যতা কিংবা নাফরমানি  করে বসে আছেন!
যেখানে আপনি আপনার রবকেই পরোয়া করছেন না, সেখানে কিভাবে আপনি  আশা করতে পারেন যাদের ব্যাপারে আপনি দায়িত্বশীল তারা আপনাকে মান্য করবে, শ্রদ্ধা করে চলবে!

এইটা কি হিপ্রোক্রেসি নয়?

এটাই হচ্ছে ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া! যখন আমরা আমাদের মালিকের অবাধ্য হব, তাহলে তিনি তাদেরকে আমাদের অবাধ্য করে দিবেন যাদের উপর আমরা কর্তৃত্বশীল।

এ জন্য নিজের ভাই-বোন,স্বামী-স্ত্রী কিংবা ছেলে-মেয়ের ব্যাপারে অভিযোগ দেওয়ার আগে একবার ভাবুন মালিকের সাথে আপনার সম্পর্ক কেমন!
আপনি প্রকাশ্য কিংবা গোপনে এমন কোন কাজ করছেন না তো যার কারণে আপনার রব আপনার উপর অসন্তুষ্ট?

সহজ সমীকরণঃ আপনি আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ঠিক  করে নিবেন আর আল্লাহ তাঁর বাকী সৃষ্টির সাথে আপনার সম্পর্ক ঠিকঠাক করে দিবেন।
সবার অন্তরে আপনার প্রতি ভালোবাসা ঢেলে দিবেন।

মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৯

কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন তোলার প্রতিবাদে ঢাকায় ইসলামি আন্দোলনের বিক্ষোভ৷

HM HAMID: কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন তোলার প্রতিবাদে ঢাকায় ইসলামি আন্দোলনের বিক্ষোভ৷ 


ঢাকায় বিক্ষোভ
ঢাকা: ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার কাশ্মীরের মুসলমানদের প্রতি দমনমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর তীব্র বিরোধিতা করা হবে। এমনই অভিযোগ তুলে ফের ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক গলিয়ে বিক্ষোভে সামিল ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ সংগঠন।

ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে প্রশাসন কঠোর হচ্ছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলি বাহিনি। সম্প্রতি ভারতে বিভিন্ন সময় সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর হামলা ও পিটিয়ে মারার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করে ইসলামি আন্দোলন। সেবার তাদের ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও অভিযান রুখে দেয় সরকার।

মঙ্গলবারও ইসলামি আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ঘিরে সতর্ক প্রশাসন। সংগঠনটির অভিযোগ, কাশ্মীরে মুসলিমদের উপর দমন অভিযান চালানো হচ্ছে। এর প্রতিবাদে বিরাট জমায়েত হবে ঢাকায়। বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রধান নেতা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে হবে জমায়েত। তাদের অভিযোগ, ‘ভারতের সংবিধানের ৩৫ -ক ধারা এবং ৩৭০ অনুচ্ছেদ কাশ্মীরকে যে মর্যাদা দিয়েছে তা বাতিল করেছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার।’

এদিকে অবস্থা আয়ত্তে রাখতে তৎপর ঢাকা মহানগর পুলিশ। মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট বাহিনি। যে কোনও রকম উত্তেজনা থামাতে প্রস্তুত পুলিশের কমব্যাট দল। রয়েছেন মহিলা পুলিশ কর্মীরা।


ভারতীয় দূতাবাস সবসময়ই ভিড়ে ঠাসা থাকে। বহু বাংলাদেশি ভিসা নিতে এখানে ভিড় করেন। দূতাবাসের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।


বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বারে বারে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হন বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে খোদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিযোগ করেছেন প্রিয়া সাহা নামে এক বাংলাদেশি। তাঁর মন্তব্যের পরেই বাংলাদেশে ছড়িয়েছিল ক্ষোভ।

এই প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধেও তীব্র ক্ষোভ দেখিয়েছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ সংগঠনটি। তবে এবার তাদের ইস্যু কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন রদ করা।

সূত্রঃ কলকাতা পত্রিকা৷

আলেম-ওলামা ছাড়া সমাজের পরিবর্তন সম্ভব নয়, বললেন মেয়র আতিকুল৷

আলেম-ওলামা ছাড়া সমাজের পরিবর্তন সম্ভব নয়, বললেন মেয়র আতিকুল৷

HM HAMID: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আলেম-ওলামাদের বাদ দিয়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন যেমন সম্ভব নয়, তেমনি আপনাদেরও দায়িত্ব আছে দেশের উন্নয়নে শরিক হওয়ার। বর্তমানে এডিস মশার প্রাদুর্ভাব ও ডেঙ্গু রোগের ভয়বহতা থেকে রক্ষা পেতে মুসুল্লিদের সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি। ডিএনসিসি মেয়র আরো বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য আমাদের নিজেদের সাথে-সাথে আমাদের প্রতিবেশীরাও নিরাপদ থাকবে, যেটি অশেষ ছোয়াবের কাজ। আমরা নিজেরা যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবো, তেমনি আমাদের প্রতিবেশীদেরকেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে উৎসাহিত করবো।

আজ সোমবার রাজধানীর মিরপুরে জামিউল উলুম মাদ্রাসা ও মসজিদ কমপ্লেক্সের খতিব, ইমাম, আলেমগণ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সাথে এডিস মশানিধন ও ডেঙ্গু সচেতনতা বিষয়ে আলোচনায় ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম একথা বলেন।

মেয়র আতিকুল ইসলাম মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরকে ডেঙ্গু মশার বিভিন্ন প্রজননস্থল গাড়ির অব্যবহৃত টায়ার, আইসক্রিমের কাপ, ডাবের খোসা, ছোট পট, পরিত্যক্ত কন্টেইনারে জমে থাকা পানি নষ্ট করে ফেলার পরামর্শ দেন।

জামিউল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আবুল বাশার নোমানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক ম‚খ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী সাহাবুদ্দীন আহমেদ, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জয়নুল বারী এবং ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান বক্তব্য রাখেন।

কাশ্মীরিদের পক্ষে দাঁড়ালেন এরদোয়ান মাহাথির ইমরান

কাশ্মীরিদের পক্ষে দাঁড়ালেন এরদোয়ান মাহাথির ইমরান 


somoy
HM HAMID: জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর কাশ্মীরিদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। 
সোমবার (৫ আগস্ট) জম্মু-কাশ্মীর ভেঙে দুই ভাগ করার প্রতিক্রিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। বিষয়টি নিয়ে তিনি ইমরান খানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও ডনের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (৫ আগস্ট) ভারতের রাজ্যসভার অধিবেশনে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রস্তাব পাস হওয়ার পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পাক প্রধানমন্ত্রীকে টেলিফোন করেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে দুই নেতার টেলিফোন আলাপের বিষয়টি স্বীকার করে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে টেলিফোন করেছেন।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল হয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তানের অবস্থানের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
সোমবার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে তার দেশ কাশ্মীরি জনগণের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন এরদোয়ান।
পাক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এই বিষয়ে তুরস্কের দৃঢ় সমর্থন পাকিস্তানের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সূত্রঃ সময় সংবাদ

‘ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোড়েঙ্গে’ মোদিকে নেতানিয়াহু৷

বুঝে নিন সে কেন এত শক্তিধর! 

‘ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোড়েঙ্গে’ মোদিকে নেতানিয়াহু৷ 

                                                                          ছবি: সংগৃহীত

HM HAMID: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, আমাদের বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতা যেন উচ্চতা ছুঁতে পারে।
আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ব্যতিক্রমী শুভেচ্ছা জানান ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। খবর এনডিটিভির।

ভারতকে ২০১৯ সালের বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের চিরদিনের বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক অব্যাহত থাকুক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ওই বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতা যেন উচ্চতা ছুঁতে পারে।
ওই পোস্টের সঙ্গে মোদি ও নেতানিয়াহুর একটি ছবি দেয়া পোস্ট করা হয়, যাতে দেখা যাচ্ছে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সমুদ্র সৈকতে একে অপরের হাত ধরে রয়েছেন।
ভারতকে ২০১৯ সালের বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের চিরদিনের বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক অব্যাহত থাকুক।
এদিকে ভারতে অবস্থিত ইসরাইলি দূতাবাস বন্ধু দিবস উপলক্ষে বিখ্যাত হিন্দি চলচ্চিত্র ‘শোলের’‘ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোড়েঙ্গে’গানটি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করে।
ইসরাইলে নেতানিয়াহুর নির্বাচনী ব্যানারে মোদির ছবি
ইসরাইলে নেতানিয়াহুর নির্বাচনী ব্যানারে মোদির ছবি
২০১৪ সালে হিন্দুত্ববাদী মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সব সময় ইসরাইলের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়েছে ভারত। ২৫ বছরের দূরত্ব ভেঙে ২০১৭ সালে ভারত- ইসরাইল ৪২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্যিক সমঝোতা স্বাক্ষর করে। এ ছাড়া আরও ১২টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে দেশদুটির মধ্যে।
দ্বিতীয় মেয়াদে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর নেতানিয়াহুই প্রথম শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান। গত মাসেই ইসরাইলের ভোট চলাকালীন ইহুদিবাদী নেতানিয়াহুর সঙ্গে করমর্দনরত মোদির ব্যানার দেখা যায় তেলআবিব শহরে।
আগামী সেপ্টেম্বরে ইসরাইলে পুনঃভোটের আট দিন আগে ভারতে আসছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

কাশ্মীরে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা চালাতে যাচ্ছে ভারত, অভিযোগ গিলানীর

কাশ্মীরে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা চালাতে যাচ্ছে ভারত, অভিযোগ গিলানীর

এইচ এম হামিদুর রহমান বাইশারী: কাশ্মীরিদের রক্ষায় বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সর্বদলীয় হুররিয়াত কনফারেন্সের(এপিএইচসি) প্রধান সাইয়েদ আলী শাহ গিলানি। তিনি অভিযোগ করেন, কাশ্মীরে বড় ধরনের গণহত্যা চালাতে যাচ্ছে ভারত। পাকিস্তান টুডে
শনিবার টুইটারে দেয়া এক পোস্টে গিলানি বলেন, এই গ্রহে বসবাস করা সব মুসলমানের কাছে কাশ্মীরেদের রক্ষার বার্তা হিসেবে নিতে হবে এই টুইটকে।
তিনি বলেন, যদি সবাই আমরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হই, আর আপনারা নীরব থাকেন, তাতে মহান আল্লাহর কাছে আপনাদের জবাব দিতে হবে। কাশ্মীরে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা ঘটাতে যাচ্ছে ভারত। আল্লাহ আমাদের সুরক্ষা করুক।
কাশ্মীরে অতিরিক্ত ভারতীয় সেনা মোতায়েনের পর সেখানের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে।
রাজ্যটির লোকজন নিজেদের অনিরাপদ মনে করছেন। কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে বলে তাদের কাছে মনে হচ্ছে।
গত শুক্রবার রাজ্য সরকার সব পর্যটকদের অতিসত্বর চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ হিন্দুদের একটি বড় তীর্থযাত্রায় সন্ত্রাসী হামলার গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গেছে বলে সরকার দাবি করছে।
এদিকে কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিসহ ৩ জনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। জম্মু কাস্মিরের কিছু এলাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে মোবাইল ঘোন ও ইন্টার নেট

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট গুলো দেখুন, আর মন দিয়ে পড়ুন৷ আমার জানা মতে ক্ষতি হবেনা আপনার৷ ইশা-আল্ল-হ৷

বাংলাদেশে হাবশী শাসক

আমাদের এই দেশ একসময় সুদূর আফ্রিকা থেকে আগত হাবশীদের দ্বারা শাসিত হয়েছে। আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে হাবশী কারা? 'হাবশা' বলতে মূলত ইথ...

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ দেখুন